এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি:জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চিংড়ি চাষিরা বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, বর্তমান উন্নত প্রযুক্তিতে চিংড়ি চাষিদের বিভিন্ন প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ এবং ঋণ দিয়ে দিয়ে তাদেরকে সহায়তা করতে চায় এসিআই এগ্রোলিংক। সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের তারালিতে আগামী এক বছরের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি সফল হলে আগামী ১০ বছরের জন্য এ অঞ্চলের চিংড়ি চাষে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে এসিআই এগ্রোলিংক।
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে এসিআই এগ্রোলিংক-এর আয়োজনে সম্প্রতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে "CLIMATE RESILIENT SUSTAINABLE SHRIMP VALUE CHAIN IN BANGLADESH"শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন এসিআই এগ্রিবিজনেসেস-এর প্রেসিডেন্ট ও এসিআই এগ্রো লিংক-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এফ এইচ আনসারী। কর্মশালায় মৎস্য চাষী, উদ্যোক্তা, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও এসিআই এগ্রোলিং এর উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও এসিআই এগ্রো লিংক ফিল্ড ম্যানেজার মোস্তাক মাহমুদের সঞ্চালনায় ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।
ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন শুধু কৃষিতে নয় সব ক্ষেত্রেই জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। আমরা দারিদ্রতার বিরুদ্ধে লড়াই করছি যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এসিআই এগ্রোলিংক মৎস্য চাষীদের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গুণগত মান রক্ষায় সবকিছুতে সহায়তা করতে চায়। চিংড়ি চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে মাছ চাষে এবং উৎপাদনে আরো আগ্রহী হয় এবং ব্যবসায় লাভবান হয়ে এই পেশায় টিকেেথেকে তাদের দারিদ্রতা দূর করতে পারে।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সুকুমার দাশ বাচ্চু, মৎস্য চাষী প্রসাদ কুমার সরকার, বাবলু বিশ্বাস প্রমূখ। তারা বলেন, দেশে এবং বিদেশে এসিআই যথেষ্ট সুনামের সাথে বাগদা চিংড়ি মাছ বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত আছে। বর্তমান বিশ্ববাজারে বাগদা চিংড়ি মাছের চাহিদা থাকলেও চিংড়ির গুনগত মান বিষয়ে অবস্থান ভালো না থাকায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের মার্কেট হারিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, চিংড়ি মাছের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এসিআই অ্যাগ্রো লিংক কালীগঞ্জের তারালিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এটি অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। দেশে এবং বিদেশে এই কোম্পানির সুনাম রয়েছে। চিংড়ি চাষীদের প্রযুক্তি দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে দারিদ্রতা কমিয়ে আনতে এই প্রকল্প এলাকার চিংড়ি চাষীদের জন্য ব্যাপক ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলে তারা মন্তব্য করেন।