এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:সিরাজগঞ্জে ভার্মিকম্পোস্ট (কেঁচো সার) সার কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই সার তৈরি ও বিক্রি করে সাফল্য পেয়েছেন স্থানীয় কৃষক নুরুল ইসলাম। নুরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সদানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গতানুগতিক নিয়মে কৃষি কাজ করে আসছিলেন।
আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও ভার্মিকম্পোস্টের বিষয়ে তার তেমন কোনো ধারণা ছিল না। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এরপর তিনি আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে আরডিএডিপি প্রকল্পের আওতায় ভার্মিকম্পোস্ট তৈরি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনীর মাধ্যমে ১০টি রিংয়ে কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেন। প্রদর্শনী থেকে উৎপাদিত সার জমিতে ব্যবহার করে তিনি অবাক করা সাফল্য পেয়েছেন। এরপর তিনি বাণিজ্যিকভাবে এই সার উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেন।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ পরামর্শ ও সহযোগিতায় আরও ১০টি রিং স্থাপন করেন, এখন ২০টি রিংয়ে উৎপাদন করছেন। নুরুল ইসলাম জানান, তার নিজস্ব গরুর খামার থেকে প্রাপ্ত গোবর ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রাপ্ত কেঁচো দিয়ে শুরু করেন ভার্মি কম্পোস্টের বাণিজ্যিক উৎপাদন। প্রতি মাসে উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ৯০০ কেজি সার। প্রায় ২০০ কেজি তিনি নিজে ব্যবহার করার পর বাকি প্রায় ৭০০ কেজি অন্য কৃষক ও সিরাজগঞ্জ শহরের ছাদ বাগানীদের নিকট বিক্রি করেন।
প্রতি মাসে ভার্মি কম্পোস্ট বিক্রি বাবদ তিনি আয় করেন প্রায় ১০ হাজার টাকা। পাশাপাশি ২/৩ হাজার টাকার কেঁচোও বিক্রি করেন। তার উৎপাদিত সারের সুনাম কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৫ জন কৃষক তার মাধ্যমে প্রযুক্তি গ্রহণ করেছেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী বলেন, 'নুরুল ইসলামের উৎপাদিত কেঁচো সার ইতোমধ্যেই কৃষক ও ছাদবাগানকারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিনই তারা এসে এই সার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই কেঁচো সার উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।'