রাজধানী প্রতিেবেদক:দেশ-বিদেশের পোল্ট্রি শিল্পে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত কিছু উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সবকিছুর মধ্যেই নিহিত রয়েছে বিজ্ঞান। রাজধানী ঢাকায় সদ্য সমাপ্ত ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউ.ভি.পি.এ), বাংলাদেশ শাখা আয়োজিত দু’দিনব্যাপী পঞ্চম ডব্লিউ.ভি.পি.এ এশিয়া মিটিং-২০২২ এর সফল সমাপনী শেষে আয়োজকরা এগ্রিলাইফের কাছে এমন অনুভূতি ব্যক্ত করলেন।
পঞ্চম ডব্লিউ.ভি.পি.এ এশিয়া মিটিং-২০২২ এ সম্মেলনে সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের পোল্ট্রি বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এখানে উপস্থিত থেকে নানা কারিগরী মতামত দিয়েছেন। এই সম্মেলনের আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম WVPA বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. বিশ্বজিৎ রায় বলেন, দুই দিনের এই কারিগরি সেশনগুলি ছিল এক কথায় অভাবনীয়। তারা যতটুকু আশা করেছিলেন তার চেয়েও অনেক সমৃদ্ধ পেপার এখানে পোল্ট্রি বিজ্ঞানীরা উপস্থাপন করেছেন।
ডব্লিউ.ভি.পি.এ বাংলাদেশ শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কোভিড মহামারি একদিকে যেমন বৈশ্বিক সংক্রমণের ভয়াবহতাকে তুলে ধরেছে; একইসাথে রোগ-জীবানুর সংক্রমণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিষেধক আবিষ্কার ও তার যথাযথ প্রয়োগ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটিও বিশ্বকে শিখিয়েছে। পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে এগিয়ে নিতে হবে এবং ভেটেরিনারিয়ানদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে জানান ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
দেশের বিভিন্ন পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত শিল্পোদোক্তা, বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবৃন্দ, পোল্ট্রি কনসালটেন্টদের সরব উপস্থিতি তাদের আয়োজনকে আরও সার্থক করে তুলেছে। প্রতিটি পোস্টার প্রেজেন্টেশন থেকে ওরাল প্রেসেন্টেশন এবং প্লেনারিসেশনের প্রত্যেকটি পর্বেই অনেক প্রশ্নোত্তরের সমাধান মিলেছে যা আমাদের দেশের পোল্টির সেক্টরকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।
এই মিটিং এর মাধ্যমে অর্জিত ফলাফল গুলি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের শিল্পোদোক্তাদের কাজ করতে হবে। আমরা সকলে মিলে আমারি পর্যায়ে দিকনির্দেশনা গুলি বাস্তবায়ন করতে পারলে নিরাপদ যডম ও মাংস উৎপাদনে আমরা আরো আন্তর্জাতিক মানের পর্যায়ে নিশ্চিত করতে সক্ষম হব বলে মনে করেন সম্মেলনে আগত দেশের খ্যাতনামা পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞরা।