বিজনেস প্রতিবেদক:কৃষি শিল্পে স্মার্ট প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে চান আবদুল মোনেম লিমিটেড-এর বিজনেস হেড (এগ্রো বিজনেস) কৃষিবিদ আহসানুল আরিফ। চলতি ডিসেম্বর মাসের পহেলা তারিখে তিনি এ পদে যোগ দেন। অত্যন্ত পরিশ্রমী, মেধাবী ও সুদর্শন আহসান আরিফ প্রাণি ও মৎস্য সেক্টরে সকল স্টেক হোল্ডারদের কাছে জনপ্রিয় একটি মুখ। নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম-এর কাছে তিনি তাঁর অনুভূতি এভাবে ব্যক্ত করলেন।
কৃষিবিদ আহসান বলেন, পোলট্রি ডেইরি এবং ফিশারিতে যে সব দেশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নয়ন ঘটিয়েছে আমাদের দেশে সেগুলোর সমাবেশ ঘটানো জরুরী। আমাদের দেশের সকল খামারিরা অত্যন্ত সৎ এবং কঠোর পরিশ্রমী। তাদের কাছে এসব প্রযুক্তি গুলো পৌঁছানো প্রয়োজন। আশার কথা হল দেশের অনেক কোম্পানি এখন প্রাণিসম্পদ ও ফিশারিজ সেক্টরে স্মার্ট প্রযুক্তি গুলি খামারীদের গোড়ায় পৌঁছাতে কাজ করছে। এর সুফলও পাচ্ছেন খামারি উদ্যোক্তা এবং সর্বোপরি ভোক্তা দেশ ও জাতি। বাংলাদেশের কৃষিতে অনেক কিছু রয়েছে তারপর প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে খামারীদের দোরগোড়ায় স্মার্ট প্রযুক্তি এবং পণ্যগুলি পৌঁছে দিতে চান।
আহসান বলেন, আবদুল মোনেম লিমিটেড-এর এগ্রো বিজনেস ডিভিশন বেশ বড় পরিসরে এনিম্যাল ফিড ও মেডিসিন, এগ্রোকেমিক্যালস্ বীজ এবং সার, এগ্রো মেশিনারিজসহ বিভিন্ন কৃষি ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের এগ্রো বিজনেস ডিভিশনের বিজনেস হেড হিসেবে যোগ দিতে পেরে তিনি আনন্দিত। এখানে কৃষির প্রত্যেকটাই সেক্টরের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আবদুল মোনেম লিমিটেডকে কৃষিভিত্তিক শিল্পে একটি সম্মানজনক উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান আহসান ।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে একুয়াকালচারে এম এস ডিগ্রি অর্জন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন আহসানুল আরিফ। ১৫ বছরের সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দি একমি ল্যাবরেটরিজ, জেসন এগ্রোভেট লিমিটেড এবং সর্বশেষ সিনিয়র ম্যানেজার হেড অফ বিজনেস অপারেশন প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেড-এ দায়িত্ব পালন করেছেন।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা বাজার এলাকার শৈশবে বেড়ে ওঠা আরিফ দেখেছিলেন এই এলাকার মৎস্য সম্পদের অনেক খামার। সেই সময় থেকে তার কৌতুহল ছিল এসব খামারের প্রতি আর তাই হয়তো তিনি বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত স্বনামধন্য কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে ফিসারিজে নিয়েছেন উচ্চতর ডিগ্রী। পড়াশোনা শেষ করেই মার্কেটিং জগতের মতো চ্যালেঞ্জিং পেশাকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত ও এক পুত্র সন্তানের জন্য জনক। নতুন কর্মস্থলে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।