এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'পৃথিবীর সব দেশে দেখা যায়, উৎসব-পূজা-পার্বণের সময় পণ্যের দাম কমে। আমাদের দেশে যখন ঈদ-রোজা-পূজা যেটিই হয়, তখন পণ্যের দাম বাড়ে। উৎসবের সময় যেন পণ্যের দাম কমানোর মানসিকতা ব্যবসায়ীরা রাখে, সে জন্য আমি এফবিসিসিআই ও চট্টগ্রাম শিল্প বণিক সমিতিসহ সমস্ত ব্যবসায়ী সমিতিকে আহবান জানাই।'
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা মজুতদারী করবে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যারা পণ্যের দাম কমাবে তাদেরকে যেন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেয়া হয়, প্রয়োজনে পুরস্কৃত করা হয়। তাহলে আমাদের দেশে সেই সংস্কৃতিটা চালু হবে।
এ সময় ব্যবসায়ীদের সমৃদ্ধি তথা সমগ্র দেশের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের সমৃদ্ধির সাথে যে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও সমৃদ্ধি আসছে সেটি যদি অব্যাহত রাখতে হয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে যদি দেশ পরিচালনা করতে পারেন তাহলেই আমাদের দেশকে আমরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারবো, অন্যথায় তা পারবো না।'
গত ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করেছে এবং প্রত্যেকটি ব্যবসায়ীর সমৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসরেরা যদি আবার সুযোগ পায়, ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালের মতো দেশটাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে। আজকে দেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধি আসছে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখন বিদেশে বিনিয়োগ করছে। এটি জননেত্রী শেখ হাসিনা না হলে হতোনা। এখানে যদি আবার অন্য সরকার আসে এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ এমপি, এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বাণিজ্য মেলা কমিটির চেয়ারম্যান একেএম আক্তার হোসেন প্রমুখ।