এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: একদিন বয়সী হাঁসের বাচ্চা সরবরাহে হ্যাচারি উন্নয়নের উদ্যোক্তা খুজছে গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক)। গাকের নিরাপদ পোল্ট্রি ও পোল্ট্রিজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন উপ-প্রকল্প থেকে হ্যাচারি উন্নয়নের উদ্যোক্তাকে আংশিক অনুদান প্রদান করা হবে।
হ্যাচারি স্থাপনের স্থানঃ বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার যে কোন স্থান।
হ্যাচারী ও উদ্যোক্তা নির্বাচন প্রক্রিয়া: প্রতিযোগীতামূলক পদ্ধতিতে হ্যাচারি উন্নয়ন করা হবে। ক্লাস্টারে অপেক্ষাকৃত বড় হ্যাচারি, বয়সে তরুণ উদ্যোক্তা, কমপক্ষে ৮ম শ্রেণী পাশ (শিক্ষিত উদ্যোক্তা অগ্রাধিকার পাবে), বিদ্যমান হ্যাচারিতে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে, আরো ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী, সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো অর্থাৎ ট্রাক লোড-আনলোড করার মত প্রশস্ত রাস্তা থাকবে, ব্যবসায় ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে, নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে (অগ্রাধিকার পাবে), বাচ্চা সরবরাহে ডিলার রয়েছে (অগ্রাধিকার পাবে) এমন উদ্যোগ নির্বাচন করা হবে। আবেদনের প্রেক্ষিতে উদ্যোক্তার হ্যাচারি সরেজমিনে যাচাই বাছাই সাপেক্ষে হ্যাচারি উন্নয়ন করা হবে।
উদ্দেশ্যঃ হাঁসের বাচ্চা উৎপাদনে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক হ্যাচারি নেই বললেই চলে। এ সকল নিম্নমানের হ্যাচারি বিভিন্ন খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করে তুষ পদ্ধতিতে ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে এজন্য এই বাচ্চাতে ইনব্রিডিং সমস্যা রয়েছে। এসব হ্যাচারির হ্যাচিং রেট বা বাচ্চা ফোটার হার ৬০-৭০ শতাংশ। এজন্য একদিন বয়সী হাঁসের বাচ্চার উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। তুষ পদ্ধতিতে ডিম গরম করতে সাধারণ লাইট দেয়া হয় ফলে এসব হ্যাচারিতে নিয়মিত আগুন ধরে পুরো হ্যাচারি বিনষ্ট হয়ে যায়। এ সমস্যা থেকে সমাধানে উপযুক্ত প্যারেন্ট স্টক থেকে ডিম সংগ্রহের সিস্টেম উন্নয়ন ও হ্যাচারির আধুনিকায়ন জরুরী।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুনঃ মোঃ রহমত আলী, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, আরএমটিপি পোল্ট্রি প্রকল্প, গাক। মোবাইলঃ ০১৭২১-৯০৩৭৫৮ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাঃ ০১৭৩৫-০১৯৬৭৭