বিশেষ প্রতিবেদক: যে কোন বিদায় কষ্টের সেই সাথে আবেগের বিশেষ করে সেটি যদি হয় একজন নিবেদিত প্রাণ সহকর্মীর। গতকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) চিকস্ অ্যান্ড ফিড লিমিটেড-এর ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার কাজী নজরুল ইসলাম-এর ছিল শেষ কর্ম দিবস। ধানমন্ডির হেড অফিসে ছোট্ট পরিসরে তাঁর এই বিদায়ী অনুষ্ঠানটি ছিলো অত্যন্ত বেদনাবিধূর। ইঞ্জিনিয়ার নজরুল তাঁর আঠেরো বছরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় সকলের মাঝে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর চিকস অ্যান্ড ফিড লিমিটেডে ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন তিনি।
চিকস্ অ্যান্ড ফিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এখলাসুল হক বিদায়ী অনুভূতি জানাতে গিয়ে একজন সন্তানের দূরে কোথাও চলে যাওয়ার সাথে তুলনা করেন। পরিবার থেকে কেউ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে যেমন অনুভূতির সৃষ্টি হয় ঠিক তেমনি অনুভূতি ব্যক্ত করলেন জনাব এখলাসুল হক। তার কাছে এই কোম্পানির প্রত্যেক সদস্যই সন্তানের মত তারপরেও সময়ের প্রয়োজনে জীবিকার তাগিদে মানুষকে চলে যেতে হয় বিদায় জানাতে হয় এটি বাস্তবতা।
ইঞ্জিনিয়ার নজরুল চিকস্ অ্যান্ড ফিডের সরবরাহকৃত প্রায় সবগুলো প্রজেক্টের সাথে যুক্ত ছিলেন। ফিডমিল, হ্যাচারী, প্রসেসিং সহ প্রতিটি কাজের শুরুটাই ছিলো তাঁর হাতে। ২০০৫ সালের ২ মে তিনি চিকস্ অ্যান্ড ফিডে যোগ দেন। এরপর থেকে ধীরে ধীরে দেশের নামিদামি ফিড মিল, হ্যাচারি, বায়োগ্যাস প্রকল্প, কন্ট্রোল শেড, এগ্রো প্রসেসিং সহ কৃষি শিল্পে কোম্পানীর হয়ে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন কাষ্টমারদের মাঝে সেবা দিয়েছেন।
নজরুল জানান, এই কোম্পানিতে অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দের সাথে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, চিকস অ্যান্ড ফিড লিমিটেডে কাজ করা কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের জন্যও অনেক কিছু। এখানে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মত অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যেমন, গ্রাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, লিভ এনক্যাশমেন্ট, কিডস এডুকেশন এলাউন্স, সিনিয়র সিটিজেন এলাউন্স, ইত্যাদি। যার জন্য তার কর্মজীবনে পরিবার-পরিজন নিয়ে অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ ভাবে চলেছেন; মনপ্রান উজাড় করে দিয়ে কাজ করেছেন তারপরে চলে যেতে হচ্ছে খারাপ লাগছে। এ কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে দেশে-বিদেশে সেমিনার সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপে যোগদান করার মাধ্যমে তিনি অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করতে পেরেছেন । কোম্পানি তাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
ইঞ্জিনিয়ার নজরুল চিকস্ অ্যান্ড ফিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এখলাসুল হক সহ কোম্পানীর সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সুদীর্ঘ কর্মজীবনে এ কোম্পানির প্রত্যেকটি সদস্যের কাছ থেকে পেয়েছেন অকুন্ঠ ভালোবাসা আর আন্তরিক সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা। যার কারণে এ কোম্পানির প্রত্যেকটি প্রকল্পে তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন। তিনি সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সেই সাথে আগামী দিনের পথ চলাতে সকলের নিকট আন্তরিক দোয়া দোয়া কামনা করেছেন।