এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: চলে গেলেন দেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব ডা. হাবিব উল্লাহ খান। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় তিনি ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৮৬ বছর।
নব্বই দশকের শুরুর দিকে দেশে পোলট্রি শিল্প যখন বিকশিত হতে শুরু করে তখন হাতে গোনা যে কয়জন পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ শ্রম দিয়ে গেছেন ডা. হাবিব উল্লাহ খান তাদের মধ্যে অন্যতম। নতুন প্রজন্মের অনেকেও তাকে তেমন না চিনলেও পোল্ট্রি শিল্পের শুরুর দিক থেকে যারা কাজ করছেন তারা তার অবদানের কথা গভীরভাবে স্মরণ করেন। অবসরে গেলেও কর্ম পাগল অন্তহীন মরহুম ডা. হাবিব উল্লাহ খান সব সময় নিজেকে উজাড় করে দিয়ে কাজ করে গেছেন। তিনি খামার পর্যায়ে খামারীদের মাঝে তার সেবা দিয়ে গেছেন। তার অবদানের কথা এই সেক্টরের সকলেই চিরদিন মনে রাখবে
মরহুমের মৃত্যুর খবরে প্রাণিসম্পদ সেক্টরের সরকারি বেসরকারি সকল পর্যায়ের এক গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক ও সমবেদসা জানিয়েছেন দেশের এনিম্যাল হেলথ্স সেক্টরের পথিকৃত প্রতিষ্ঠান আরিফস্ (বাংলাদেশ) লি:-এর কর্তৃপক্ষ, রাবি 'ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স' অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ সহ আরো অনেকে।
কৃষিবিদ ডা. হাবিব উল্লাহ খান ১৯৩৯ সনের পহেলা জানুয়ারি, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের খাঁ বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ভেটেরিনারী সাইন্স বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৬৯ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে চাকুরীতে যোগদান করেন।
১৯৯৩ সনে কেন্দ্রীয় মুরগি খামার, মিরপুর হতে উপ-পরিচালক হিসেবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘ সময় কারিগর শিক্ষা বোর্ডের সম্পাদক হিসেবে যুক্ত ছিলেন। অবসরের পরেও তিনি বে-সরকারি পোল্ট্রি ও ডেয়রী খামারে বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত থেকে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করে গেছেন।
মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে শুভাকাঙ্ক্ষী, সেবাগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সকলের কাছে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত দোয়া কামনা করে দোয়া কামনা করা হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিন মরহুম ডা. হাবিব উল্লাহ খানকে জান্নাত নসীব করুন।-আমিন