ক্যাম্পাস ডেস্ক:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের কমন রুমে ওই আলোচনা সভার আয়োজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল ছাত্রলীগ।
ইসতিয়াক ইউসুফ ঈশাণের সভাপতিত্বে এবং তাসনিন বিন হামিদের সঞ্চালনায় শোকসভায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক শিক্ষা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান, প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ.কে. শাকুর আহম্মদ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ সারোয়ার মুর্শেদ জাস্টিস। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, এক সময়ের রাজাকার, আল-বদর, আল শামসের বংশধর এখনো দেশে সক্রিয়। তাদের থেকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। পূর্ব পরিকল্পিত এমন হত্যাকান্ড বিশ্বে বিরল। বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত যে খন্দকার মোশতাক এবং মেজর জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও দেশে আসতে বাধা প্রদান করে এবং একটি সময় হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়। এখন দেশ তার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে, পূরণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আমার বেশি কর্মী প্রয়োজন নেই। কিন্তু কোনো অনুপ্রবেশকারী যেন সুবিধা নিতে না পারে সেজন্যে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নামের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন পূরণের ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও শেখ মুজিবুর রহমান এই দুটি শব্দ একটি আরেকটির পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু সতত-সমুজ্জ্বল, সর্বত্র বিরাজমান। তিনি দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সারাজীবন ব্যয় করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নয়, একটি আদর্শ।