আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি প্রতিনিধি:কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুড়িকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. এম জাকির হোসেন বলেছেন, আমাদের সকলকে ১৫ই আগস্টের আসল ইতিহাস জানতে হবে। সবার মনে ধারণ করতে হবে কেনো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো? কি অপরাধ ছিল তার। তিনি বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের পতাকা সংযোজন করেন। সেই তাকেই এই দেশে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এক সময়ের রাজাকার, আল-বদর, আল শামসের বংশধর এখনো দেশে সক্রিয়। তাদের থেকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের আযোজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের কমন রুমে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কুড়িকৃবি উপাচার্য আরো বলেন, শুধু কয়েকজন আর্মি অফিসারের দ্বারা মুজিব হত্যা হয়নি। কিছু বেইমানের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। স্বাধীন দেশে তার হত্যাকারীদেরই পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়া রাজনৈতিক নেতা বানানো হয়, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতও নিয়োগ করে তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যা বাংলার জন্যে দুঃখের বিষয়। কৃষির যে অনন্য অর্জন তার মূলেও আছেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের মর্যাদা প্রদানের মধ্য দিয়ে কৃষি উন্নয়নের সূচনা করেন তিনি। এ সময় পারিবারিক, রাজনৈতিক এবং প্রত্যেক কর্মকান্ডে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
খান মোহাম্মদ হাসনাইন কবিরের সভাপতিত্বে এবং ইস্তেহাদ আলম কুশলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুড়িকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল বাতেন, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মো. রফিকুজ্জামান ইমন এবং বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মেহেদী রুমী জয়।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি লিমন খানসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রায়হানুল ইসলাম।
প্রধান বক্তা হিসেবে খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত এমন হত্যাকান্ড বিশ্বে বিরল। বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত যে খন্দকার মোশতাক এবং মেজর জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও দেশে আসতে বাধা প্রদান করে এবং একটি সময় হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়। এখন দেশ তার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে, পূরণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আমার বেশি কর্মী প্রয়োজন নেই। কিন্তু কোনো অনুপ্রবেশকারী যেন সুবিধা নিতে না পারে সেজন্যে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।