বাকৃবি প্রতিনিধি:যার হাত ধরে দেশে মাৎস্যবিজ্ঞানের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা শুরু তিনি হচ্ছেন অধ্যাপক ড. এ কে এম আমিনুল হক। কিন্তু মেধাবী এই মানুষটি আর নেই। তার মৃত্যুতে বাকৃবি পরিবার থেকে শুরু করে পুরো কৃষিবিদ পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, জাতীয় অধ্যাপক এবং মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ড. এ কে এম আমিনুল হক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে গুলশানে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
অধ্যাপক ড. এ কে এম আমিনুল হক একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ছিলেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৫২ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, লাহোর থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ১৯৫৭ সালে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাকৃবির উপাচার্য হিসাবে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ পর পর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি বাকৃবিতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ সরকার কতৃক ২০০৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত হন। তিনি শাহাবুদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রীর পদমর্যাদার একজন প্রাক্তন উপদেষ্টা। ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির নির্বাচিত সহযোগী। ২০০৮-২০১২ ইনস্টিটিউটটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে মৎস্য বিভাগের সামুদ্রিক পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে ড. আমিনুল হকের মৃত্যুতে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান এক শোক বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের তথা মাৎস্যবিজ্ঞান শিক্ষার ফাউন্ডিং ফাদার, সাবেক উপাচার্য, জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হকের মৃত্যু বাকৃবি পরিবারের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।