ক্যাম্পাস ডেস্ক:গত ২রা নভেম্বর, ২০২২ একাত্তর টেলিভিশনে মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় সরাসরি প্রচারিত একাত্তর জার্নালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ জাকির হোসেনকে আমন্ত্রন করে তাঁর গবেষণায় বেগুনে প্রাপ্ত ভারী ধাতুর উপস্থিতি ও তার প্রভাব নিয়ে আলোচনার নামে যেভাবে অপমান অপদস্ত করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাকৃবি নীল দল।
আজ রবিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল-এর আহবায়ক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোহাম্মদ এহসানুর রহমান ও সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মোঃ ফারুক ইমাম দলের পক্ষ থেকে এ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিবাদ লিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন বিজ্ঞানীর সাথে কথা বলতে হলে উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও গবেষকদের। অথবা টিভি চ্যানেলেরই নিয়োজিত কিছু বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক থাকা উচিত যারা বিজ্ঞান বিশেষ করে কৃষির উপর বিশেষ জ্ঞান রাখেন। প্রফেসর ড. মোঃ জাকির হোসেন বেগুন নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন যেটি সাদা চোখে খুবই সাদামাটা একটি গবেষণা মনে হলেও আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিলে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই গবেষণা কাজ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল তিনি 'সায়েন্টিফিক রিপোর্টস' নামে একটি স্বনামধন্য জার্নালে প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবাদলিপিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রফেসর জাকিরের নেতৃত্বে একদল গবেষক বেগুনে কিছু ভারী ধাতু যেমন- লেড, ক্যাডমিয়াম এবং নিকেলের উপস্থিতি পেয়েছেন যা মানবদেহের সহনীয় মাত্রার অতিরিক্ত যেগুলোকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রফেসর জাকিরের গবেষণা দল কিন্তু কখনো বলেননি যে বেগুন খেলে ক্যান্সার হবে। কিন্তু একাত্তর টেলিভিশনের উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থাপকসহ আরও দু'জন সাংবাদিক যেভাবে তাঁকে জেরা করলেন তা কোনক্রমেই শিষ্টাচারের পর্যায়ে পরে না। মাসুদা ভাট্টি নামে একজন তো বলেই ফেলেছেন প্রফেসর জাকির নাকি ফৌজদারি অপরাধের মতো একটি কাজ করেছেন। অথচ ওই সাংবাদিকরা সাইন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালটির মান, প্রকাশক, কিভাবে গবেষণা হয়, কিভাবে জার্নালে প্রকাশ করতে হয় ইত্যাদি সম্মন্ধে ন্যূনতম জ্ঞানও রাখেন না বলে প্রতীয়মান হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অত্যন্ত স্বল্প বরাদ্দ দিয়ে এরকম একটি গবেষণা ও পৃথিবীর নামকরা একটি জার্নালে প্রকাশের পর তাঁদেরকে এমনভাবে অপমান অপদস্ত করাকেই বরং রাষ্ট্র বিরোধী কাজ বলা যায়। বাকৃবি নীল দল একাত্তর টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে প্রফেসর জাকিরের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।