কৃষিবিদদের নামের পূর্বে কৃষিবিদ লেখার সর্বপ্রথম প্রচলন করেছিলেন কৃষিবিদ জাবেদ ইকবাল-এ্যাব

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:আজ ১০ই নভেম্বর, ২০২২ বরেণ্য কৃষিবিদ জাবেদ ইকবাল এর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী। কৃষিবিদ জাবেদ ইকবাল-কে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন এগ্রিকালচারিস্টস' এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এ্যাব এর সম্মানিত আহবায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন ও সদস্য সচিব প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান সহ এ্যাব নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কৃষিবিদ জাবেদ ইকবাল শুধুমাত্র একটি নাম নয়,  আবেগ-ভালোবাসা, অনুপ্রেরণাময় একটি প্রতিষ্ঠান। আজকে আমরা কৃষিবিদরা নামের পূর্বে যে কৃষিবিদ লেখি, সর্বপ্রথম এর প্রচলন করেছিলেন কৃষিবিদ জাবেদ ইকবাল। তিনি কৃষিবিদদের আধুনিক ও স্মার্ট কৃষিবিদ হওয়ার দীক্ষা দিয়েছিলেন।

জাতীয়তাবাদী আদর্শের কৃষিবিদদের একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসার ব্যাপারে তাঁর বিরাট ভূমিকা ছিল। তিনি এগ্রিকালচারিস্টস' এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- এ্যাব এর প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি ছিলেন। এ্যাব এর প্রথম গঠনতন্ত্র তার আমলে হয় যা এখনো বলবৎ আছে (এ্যাব এর বর্তমান আহবায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন গঠনতন্ত্র তৈরি কমিটির আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন)। তিনি সারাদেশে প্রথম এ্যাব এর চ্যাপ্টার কমিটি গঠন করেন। জাতীয়তাবাদী আদর্শের পেশাজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ও শত নাগরিক কমিটি গঠনে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

কৃষিবিদ জাবেদ ইকবাল কেআইবি'র দুইবারের নির্বাচিত মহাসচিব ছিলেন। তিনি সকল মেধাবী কৃষিবিদদের নিয়ে পেশার উন্নয়নে কাজ করেন এবং কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন অব বাংলাদেশ- কেআইবি’র গঠনতন্ত্র তৈরি করেন (এ্যাব এর বর্তমান আহবায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন উক্ত গঠনতন্ত্র তৈরি কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন)। কৃষিবিদ জাবেদ ইকবাল জাতীয়তাবাদী আদর্শের একনিষ্ঠ ধারক ও বাহক হলেও কেআইবি’র মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকালে সকল মত ও পথের কৃষিবিদদের সুসংগঠিত করেছিলেন এবং পেশার উন্নয়নে কারো সাথে আপোষ করেন নি। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনটি আজকে যে জায়গায় অবস্থিত তার জমি বরাদ্দ পেতে ও পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্টেশনের ক্ষেত্রে উনার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। উনি কেআইবি’র মহাসচিব এর দায়িত্ব পালনকালে ১৯৯৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া'র উপস্থিতিতে কৃষিবিদদের নিয়ে সর্ববৃহৎ সম্মেলন করেন। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ- কেআইবি’র আধুনিকায়নে তার অনেক অবদান রয়েছে।

প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিৎসকদের সংগঠন-প্রকৃচি এবং ২৬ ক্যাডার এসোসিয়েশন-এর মহাসচিব ছিলেন কৃষিবিদ জাবেদ ইকবাল। প্রকৃচি ও ২৬ ক্যাডার নিয়ে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। "কৃত্য পেশা ভিত্তিক প্রশাসন চাই"- এটা ছিল প্রকৃচি ও ২৬ ক্যাডার এসোসিয়েশন'র স্লোগান। সে সময়ে প্রশাসনের লোকজন অন্যান্য ক্যাডারের লোকজনকে যথেষ্ট সম্মান করতো যা আজকের দিনে তেমন আর দেখা যায় না। উনি প্রকৃচির মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকালে প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক এবং অন্যান্য পেশাজীবিদের  নিয়ে জাতীয় সম্মেলন করেন এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিবিদ এবং পেশাজীবিদের জন্য তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। উল্লেখ্য যে কীর্তিমান এই কৃষিবিদ ২০১৯ সালে আজকের এই দিনে মৃত্যুবরন করেন। নেতৃবৃন্দ উনার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা সহ উনার স্মৃতি দেশের মানুষ, সকল পেশাজীবী এবং কৃষিবিদদের কাছে তুলে ধরার ব্যাপারে  অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।