এস এস রায়হানুল নবী, সিকৃবি প্রতিনিধিঃসিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( সিকৃবি) আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাশনিক ভবন প্রাঙ্গন হতে র্যালিটি শুরু হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঞা নেতৃত্তে¡ র্যালিটি সিকৃবির প্রাধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এসে শেষ হয়। এরপর ভেটেরিনারি, এনিমেল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঞা।
তিনি বলেন, ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার দেখানো পথে আজ নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও মেয়েরা পড়ালেখাসহ অন্যান্য সব ক্ষেত্রে ভালো করছে। নারী-পুরুষের সহাবস্থানই আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে'।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. এম এম মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তফা সামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান, রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শরীফুন্নেছা মুনমুন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধকল্পে গঠিত অভিযোগ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনজুমান আরা, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা লাকী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আশিকুর রহমান। এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন স্তরের নেত্রীবৃন্দ ও সিকৃবি সাধারন ছাত্রছাত্রীরা।
উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় মুসলিম সমাজে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোনো চল ছিল না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও পরিবারের সবার অগোচরে তার বড় ভাইয়ের কাছে উর্দূ, বাংলা, আরবি ও ফারসি পড়তে এবং লিখতে শেখেন। তার জীবনে শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে তার ভাই ও বড় বোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। পরবর্তীতে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মারা যান।
বেগম রোকেয়া ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো-মতিচূর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধ-বাসিনী।