প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে-শেকৃবি ভিসি

শেকৃবি প্রতিনিধি: আমাদের ৪র্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় অন্যান্য শিল্পের পাশাপাশি প্রচলিত প্রাণীসম্পদ উৎপাদনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের গবেষণা বাড়াতে হবে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও তা কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। কৃষিতে কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা অধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল ভবনের এএসভিএম অনুষদের কনফারেন্স কক্ষে ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় "গবাদিপশু উৎপাদনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার" শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, শেকৃবি'র ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।আধুনিক প্রাণীসেবা লিঃ এর সহযোগিতায় শেকৃবি'র এনিম্যাল প্রোডাকশন এন্ড  ম্যানেজমেন্ট বিভাগ উক্ত সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি'র ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. লাম ইয়া আসাদ।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চার্লস স্টুয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (অস্ট্রেলিয়া) এর সহযোগী অধ্যাপক ড. আসাদ কবির এবং প্রাণীসেবা লিঃ এর হেড অব অপারেশন ডা. রেজাউল আলম রেজা। সেমিনারে বক্তারা এদেশে গবাদিপশু উৎপাদনে কৃক্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহারের সুযোগ ও সুবিধা নিয়ে আলোচন করেন। বক্তারা ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্ব তুলে ধরেন।



উল্লেখ্য যে, প্রাণীসম্পদ উৎপাদনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে গবাদি পশুর খাদ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হবে, অসুস্থ প্রাণীর লক্ষণ ৪৮ ঘন্টা পূর্বেই জানা যাবে। এমনকি গবাদি পশুর প্রজননের সঠিক সময় জানা যাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  ব্যবহারে গবাদি পশুর চিকিৎসা ব্যয়, শ্রমিক খরচ কমে অর্ধেক হবে এবং বার্ষিক আয়  পাঁচশ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন এনিম্যাল প্রোডাকশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এনায়েত কবির ও ফাল্গুনী  দাদক।