আব্দুল মান্নান, কুড়িগ্রাম: আজ ১০ জানুয়ারি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন ।
ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁর প্রদত্ত বাণীতে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবন থেকে পাকিস্তানি সেনারা আটক করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর বিশ্ব জনমতের চাপে ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। চব্বিশ দিন পর পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে সেদিন বঙ্গবন্ধুর আগমন ছিল বাঙালি জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা।
বাণীতে আরও বলা হয়, ১০ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু দিল্লী বিমানবন্দরে পৌছালে তাঁকে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং সেদেশের জনগণ উষ্ণ সংবর্ধনা জানান। বঙ্গবন্ধু তখন ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। পরবর্তীতে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে ঢাকার মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু। এসময় আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ বাঙালি ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে সংবর্ধনা জানাতে জড়ো হন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা'র নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আরো সাহস ও আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যেতে হবে- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।