আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি প্রতিনিধি:বিদ্যার দেবীর আরাধনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটি ও সনাতন সংঘের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরে ওই পূজা উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, সকাল আটটায় প্রতিমা স্থাপন এবং সাড়ে ৮ পূজার কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সকলের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এছাড়া পরবর্তীতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়েছে।
অঞ্জলী শেষে ‘শ্রী শ্রী বাণী অর্চনা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সনাতন সংঘের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাক্ষ্যজিত সাহার সঞ্চালনায় এবং বাকৃবি কন্দ্রীয় মন্দির কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. গোপাল দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য। এছাড়াও আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আসলাম আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দুধর্মাবলম্বী অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, 'স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান আহরণের জায়গা। এখানে জ্ঞান বিতরণ হচ্ছে এবং সেই আরোহিত জ্ঞান আমাদেরকে সমাজের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। এই সরস্বতী পূজার মাধ্যমে আবারো শিখি কীভাবে সমাজ গড়তে হবে। সরস্বতী হলো বিদ্যার দেবী। আমাদেরকে সকল প্রকার অন্যায়, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদকমুক্ত ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটি সমাজ গঠন করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য একের পর এক বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন। যার জন্য বিশ্বে বাংলাদেশ একটি হানাহানিমুক্ত ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ বলে পরিচিত। এজন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কৃষক ও শ্রমিকসহ সকল শ্রেণীর মানুষদের মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।'