রাজধানী প্রতিনিধি:শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ তম ব্যাচের দীপ্ত পদচারণায় আলোকিত হলো শেকৃবি ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমধুর দিনগুলো হয়তো ফিরে পাওয়া যাবে না কিন্তু তাদের ক্ষণিকের উপস্থিতি ছিল ঠিক ৩০ বছর আগের মতই রঙীন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) ক্যাম্পাসের প্রায় প্রতিটি জায়গায় ছিল শুধুই ৪৯ তম ব্যাচ।
চমৎকার শান বাঁধানো বিশাল পুকুরের ঘাট, শহীদ মিনার, নবনির্মিত টিএসসি, ফুলের বাগান সবখানে তারা ঘুরে বেড়ালেন একসাথে। সেলফি তুলতে এক্সপার্ট বন্ধু বিজু ছিল সদা তৎপর। এছাড়া যুগল বন্ধুদের রোমান্টিক কিছু ফটো সেশন ছিল অত্যন্ত আনন্দের।
পুরনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যান্ট প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর ড. নাজনীন সুলতানা ছিল বরাবরের মতো উচ্ছ্সিত। সাথে যোগ দিয়েছিলেন বিলকিস, ডেইজি, নাজমা, শিল্পী, সিম্মীরা।একসাথে বান্ধবীদেরকে কাছে পেয়ে তারা যেন ফিরে গিয়েছিলেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসের শিক্ষা জীবনে।
৪৯ তম ব্যাচের এধরনের অনুষ্ঠানের অন্যতম সংগঠক কৃষিবিদ ড. মো: তাসদিকুর রহমান সনেট এগ্রিলাইফকে বলেন, প্রতিবছরই তারা একবার হলেও একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। তার বন্ধু হারুন, লিটন, নাজমা, বিলকিস, নাজনীন সহ অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে যারা শ্রম ও সময় দিয়েছেন তাদের সকল বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।
ড. মো: তাসদিকুর রহমান আরো বলেন, মেধা-পরিশ্রম মেধা পরিশ্রম বুদ্ধি এবং তথ্যপ্রযুক্তির সময় যোগাযোগ ঘটিয়ে নিজেদের পাশাপাশি অন্যদের মন জয় করতে হবে কৃষিবিদদের। বর্তমান যুগ মেধা ও পরিশ্রমের যুগ; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি শিক্ষার অন্যতম প্রাচীন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একজন আদর্শ কৃষিবিদ তৈরীর অন্যতম এ প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা কৃষিবিদরা দেশ-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন। বর্তমান প্রজন্মের নবীন শিক্ষার্থি ও কৃষিবিদরাও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে বিশ্ববিদ্যালযয়ের ভাব-মূুর্তি আরো উজ্জ্বল করবেন এমনটাই কামনা করেন কৃষিবিদ ড. মো: তাসদিকুর রহমান সনেট।