এস এম রায়হানুল নবী, সিকৃবি প্রতিনিধি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডারের সব পদে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রিধারীদের বঞ্চিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে তারা অতিদ্রুত নিয়োগবিধি সংশোধন ও সারাদেশে অভিন্ন ভেটেরিনারি ডিগ্রি চালুর দাবি জানান।
জানা গেছে, সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের (ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়। উক্ত গেজেটে সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার, অ্যানিমেল প্রোডাকশন অফিসার ও জ্যু অফিসার পদগুলোতে ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজব্যান্ড্রি ডিগ্রিধারীদের আবেদনের যোগ্যতার কথা বলা হলেও ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রিধারীদের আবেদনের কথা উল্লেখ নেই।
এর প্রতিবাদে, আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে ভেটেরিনারি ছাত্র সমিতির আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে উক্ত পদসমূহে ডিভিএম ডিগ্রিধারীদের আবেদনের সুযোগ করে দেয়ার দাবি জানানো হয় এবং দাবি আদায় না হলে ভবিষ্যতে লাগাতার আন্দোলন ও অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুষদের সব ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়ার কথা জানান শিক্ষার্থীরা ।
মানববন্ধনে সিকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদীয় ছাত্র সমিতির সভাপতি ও অনুষদের ডিন ড. এম রাশেদ হাসনাত বলেন, আমি ছাত্র সমিতির আয়োজনের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। পাশাপাশি অনতিবিলম্বে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিনকে (ডিভিএম) বঞ্চিত নন-কেডার পদের জন্য অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটি (প্রজ্ঞাপন) একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংসদে অনুমোদিত হয়েছে এবং যে পর্যন্ত না সংশোধন করে আমাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা না যাবে সে পর্যন্ত এই পদগুলো ফিলাপ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, সিকৃবি সহ বর্তমানে দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রি ও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। প্রায় একই কোর্স ক্যারিকুলামে পড়ালেখা চললেও শুধু নামে ভিন্নতা থাকায় ডিভিএম ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা চাকুরীর কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং সমন্বিত ডিগ্রিধারী একজন শিক্ষার্থী চাকরি ক্ষেত্রে দুই ডিগ্রির সুবিধা পাচ্ছেন।