দীন মোহাম্মদ দীনু।। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপনা শাখার উদ্যোগে আমন বীজ ধান কর্তন উদ্বোধন করা হয়। আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর ২০২৩) সকালে আমন বীজ ধান কর্তন উপলক্ষে আয়োজিত মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন বীজ ধান কর্তন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী ।
বাকৃবি খামার ব্যবস্থাপনা শাখার আয়োজনে প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন-এর সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ হারুন অর রশিদ, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. আবু হাদী নূর আলী খান, বাউরেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজা বেগম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মোঃ অলিউল্লাহ, ট্রেজারার মোঃ রাকিব উদ্দিন, এডিশনাল রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন, উপ-প্রধান খামার তত্ত¡াবধায়ক কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউর রহমান, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু প্রমুখ ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন বাকৃবির খামার ব্যবস্থাপনা শাখা , গুণগত ও মান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন করে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এবং ইতোমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। এধারা অব্যাহত রাখতে এ শাখার সকলকে বীজ উৎপাদনে আরও দায়িত্বশীল ও যতœবান হতে হবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুখ্যাতি আরও বৃদ্ধি পাবে।
উপ-প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, বর্তমানে খামার ব্যবস্থাপনা শাখার অধীনে ২১৫.১১ একর জমি রয়েছে। প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়কের অধীনে খামার ব্যবস্থাপনা শাখার কার্যক্রম ৩টি ব্লকের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। খরিফ এবং রবি মৌসুমে আমন, বোরো ও গম বীজসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদিত হয়ে থাকে। খামারের ১নং ব্লকে ১২০.০৮ একর জমি, ২নং ব্লকে ২৩.০৭ একর এবং ৩নং ব্লকে ২৮.৯০ একর জমি চাষ করা হয়ে থাকে।
বিএডিসি ও বিনার সাথে চুক্তি মোতাবেক তাদের তত্তাবধানে বর্তমানে কৃষি খামারে আমন, বোরো ও আউশ মৌসুমে প্রায় ৫০০ (পাঁচশত) টন বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজ উৎপাদন করা হয়। এসব জাতের মধ্যে রয়েছে আমন ধান, ব্রিধান৩২,৩৪,৩৯,৪৯,৭১,৭৫,৯৩, বিনা ধান-৭,১১,১৬,১৭,২০,২১,২৩ বিনাশাইল-১০, গুটিস্বর্ণ-৫ বোরো ধান- ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান২৯, ব্রি ধান৮৪, ব্রি ধান৫৮, ব্রি ধান৯২, ব্রি ধান৯৬, বাউ ধান-৩, ব্রি ধান১০০।
উন্নত জাতের বীজ বিএডিসির মাধ্যমে সারা দেশের মোট বীজের চাহিদার অনেকাংশই পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। এতে যেমন দেশের কৃষক ও কৃষি উপকৃত হচ্ছে, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন আয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে কালোজিরা, সুগন্ধি জাতের বিভিন্ন ধান ও শাক-সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে বিনার সাথেও বীজ উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বীজ উৎপাদনের মাধ্যম খামার ব্যবস্থাপনা শাখা জাতীয় পর্যায়ে জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।