মিশরে তিনদিন ব্যাপী "World Cotton Research Conference"-এ যোগ দিচ্ছেন দেশের খ্যাতিমান তুলা বিজ্ঞানীরা

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:আগামী ৪-৭ অক্টোবর ৩ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে মিশরের কায়রো যাচ্ছেন বাংলাদেশী ৩ বিজ্ঞানী ও গবেষক। "World Cotton Research Conference (WCRC-7)"- নামের এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সহ তুলা উৎপাদনকারী বিভিন্ন দেশের তুলা বিজ্ঞানী ও গবেষকরা অংশ নিবেন। তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের তুলার সাথে যুক্ত ব্যবসায়ী ও স্টেক হোল্ডাররা এতে অংশ নিবেন বলে জানা গেছে।  সম্মেলনটির মূল আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তুলাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান "International cotton advisory committee".  

আন্তজার্তিক সম্মেলনে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান-এর নেতৃত্বে গবেষক ড. কামরুল ইসলাম ও ড. তাসদিকুর রহমান (সনেট) অংশগ্রহন করছেন। তারা আজ (৩ অক্টোবর সকাল ৫:০০ টায় কায়রোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান এগ্রিলাইফকে বলেন, তুলা হচ্ছে একটি কার্বন নেগেটিভ ফসল। ফলে বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে তুলা ফসল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে রাখছে। আমাদের দেশেও বিভিন্ন রকম শস্য উৎপাদনে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তুলা চাষ সকল দিক দিয়েই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক তুলা চাষীদের কথা উল্লেখ করে আখতারুজ্জামান বলেন, বর্তমান সময়ে তুলা চাষীরা একটি সন্তোষজনক বাজার মূল্য পাচ্ছেন সেদিক দিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে তুলা চাষীরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তুলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল দিন দিন কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ড মনে করে, এ সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে তারা সমগ্র বিশ্বের তুলা গবেষকদের সাথে যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন তা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বাংলাদেশের তুলা চাষ সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে কাজে লাগাতে সক্ষম হবে।

বিজ্ঞানী ও গবেষক ড. তাসদিকুর রহমান বলেন, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এথানে ৩ টি পেপার উপস্থাপন করা হবে। "এই কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নত তুলা ও তুলার জাত সম্পর্কে জানতে পারবো। সে জাতগুলো বাংলাদেশের খামারী পর্যায়ে পৌঁছিয়ে দিয়ে দেশের তুলা উন্নয়নকে বেগবান করাই আমাদের মূল লক্ষ্য"। সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিজ্ঞানীরা তুলা গবেষণায় ও জাত উদ্ভাবনে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমি মনে করছি।"