গম উৎপাদন বৃদ্ধিতে কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তি

মো: আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি:বিশ্বের অন্যতম দানাদার খাদ্যশস্য গমের অবস্থান বাংলাদেশে দ্বিতীয়। স্বাধীনতার পর ধানের মতো গম উৎপাদন আশানুরূপ বাড়েনি। দেশে বছরে গমের চাহিদা কম-বেশি ৭০ লাখ টন। আর দেশে উৎপাদিত গমের পরিমাণ ১০ থেকে ১২ লাখ টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব গম সেক্টরে পড়েছে কারণ, বাংলাদেশ ইউক্রেন হতে ৩য় সব্বোর্চ্চ গম আমদানীকারক দেশ।

এফএও’র হিসাব মোতাবেক বিশ্বের যে কয়টি দেশে সবচেয়ে দ্রুত হারে গমের আমদানি বাড়ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ৫৩ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ টন গম আমদানি হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১ সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে গম আমদানিতে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গমের আধুনিক জাতঃ
বারিগম-২৮, বারিগম-২৯, বারিগম-৩০, বারিগম-৩১, বারিগম-৩২, বারিগম-৩৩, ডব্লিউএমআরআই গম ১, ডব্লিউএমআরআই গম ২, ডব্লিউএমআরআই গম এসব।

ডব্লিউএমআরআই গম-২ জাতটি উপর্যুক্ত পরিবেশে হেক্টর প্রতি ফলন ৪৫০০-৫৮০০ কেজি। আর ডব্লিউএমআরআই গম-৩ জাত উপর্যুক্ত পরিবেশে হেক্টরপ্রতি ফলন হয় ৪০০০-৪৫০০ কেজি। এছাড়া গমের উভয় জাত গুলি তাপ সহিষ্ণু, ব্লাস্ট রোগ, পাতার দাগ রোগ এবং মরিচা রোগ প্রতিরোধী। আর উভয় জাত গুলি খাটো হওয়ায় সহজে হেলে পড়ে না। বারি গম ৩৩ জাতটি গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী। এছাড়া জাতটি পাতার দাগ রোগ সহনশীল এবং মরিচা রোগ প্রতিরোধী। জাতটি স্বল্প মেয়াদী এবং তাপ সহনশীল হওয়ায় দেরিতে বপনের জন্য খুবই উপযোগী। দানার রং সাদা, চকচকে ও আকারে মাঝারী (হাজার দানার ওজন ৪৫-৫২ গ্রাম)।

বেডপ্লান্টারের সাহায্যে বীজ বপন: বেড প্লান্টার, আধুনিক কৃষি যন্ত্র বাঁচাবে শ্রম সময়, যোগাবে অর্থ। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার সারা দেশে কৃষি যন্ত্রপাতিতে মোট দামের ৫০% এবং হাওর এলাকার জন্য ৭০% ভর্তুকি প্রদান করছে। সুবিধা হলো বেডে ফসল চাষ করলে সেচ খরচ ও সময় ২৫% কম হয় এবং এক্ষেত্রে শ্রমের সাশ্রয় হয়। এ যন্ত্রের সাহায্যে ঘন্টায় ২৫-২৭ শতাংশ জমিতে বীজ বপন করা যায়।    

বৈশিষ্ট্য
১. প্লান্টার হলো সিডারের উন্নত ভার্সন। সিডার যন্ত্রে শুধু সারি থেকে সারির দূরত্ব নির্ধারিত থাকে। কিন্ত বেড প্লান্টার যন্ত্রে সারি থেকে সারির দূরত্বের পাশা-পাশি সারিতে বীজ থেকে বীজের নির্ধারিত দূরত্ব ও বজায় রাখে।
২. যন্ত্রটি দিয়ে গম, ভূট্টা, মুগ, তিলসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি বীজ সফলভাবে বপন করা যায়।
৩. যন্ত্রটি দিয়ে ১-২ চাষে বেড তৈরি, সার প্রয়োগ ও বীজ বপনের কাজ একই সাথে করা যায়।
৪. স্থায়ী বেডে ফসলের অবশিষ্টাংশ রেখে শুন্য চাষে বীজ বপন করা যায়।   

বপনের সময়: জাত গুলি বপনের উপযুক্ত সময় নভেম্বর মাসের ১৫ থেকে ৩০ পর্যন্ত (অগ্রহায়ণ মাসের ১ম থেকে ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত) । তবে জাতটি মধ্যম মাত্রার তাপসহনশীল হওয়ায় ডিসেম্বর মাসের ৫-১০ তারিখ পর্যন্ত বুনলেও অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশী ফলন দেয়। তবে উত্তরাঞ্চলে আরোও ৭ দিন পর অর্থাৎ ২২ শে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত বপন করা যাবে।
 
বীজ শোধন: গম ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট, পাতার মরিচা ও দাগ রোগ এবং অন্যান্য বীজ বাহিত রোগ আক্রান্ত হয়ে থাকে। গমের চারা অবস্থা থেকে শীষ বের হওয়া এবং ফুল ফোটার সময় পর্যন্ত তুলনামূলক গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এসকল রোগের আক্রমণ ঘটে থাকে। গমের বীজ শোধন করে বপন করা হলে এসকল রোগের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব।

বীজ শোধনে করণীয়: বীজ বপনের আগে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করে নিতে হবে।
যেমন:
১. কার্বক্সিল ৩৭.৫% ও থিরাম ৩৭.৫% গ্রুপের প্রোভ্যাক্স-২০০ ডব্লিউপি জাতীয় ছত্রাকনাশক প্রতি কেজি গম বীজে ৩ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
২. কার্বক্সিল ১৭.৫ % ও থিরাম ১৭.৫ % গ্রুপের ভিটাফ্লো ২০০ এফ এফ জাতীয় ছত্রাকনাশক প্রতি কেজি গম বীজে ৩ মিলি হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
৩. ইপ্রোডিয়ন ৫০% গ্রুপের রোভরাল ৫০ ডব্লিউপি জাতীয় ছত্রাকনাশক প্রতি কেজি গম বীজে ৩ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।   

বীজ হার ও সেচ: সেচযুক্ত চাষের জন্য বিঘা প্রতি ১৬ কেজি এবং সেচবিহীন চাষের জন্য বিঘা প্রতি ১৩ কেজি বীজ বপন করতে হবে।

সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ: গমের ভালো ফলন পাওয়ার জন্য জমি চাষ করার সময় প্রতি শতকে এক মণ জৈব সার দিতে হয়। সেচসহ শেষ চাষের সময় প্রতি শতাংশে ৬০০-৭০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৬০০-৭০০ গ্রাম টিএসপি, ৩০০-৪০০ গ্রাম এমওপি এবং ৪৫০-৫০০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হয়। সেচসহ চাষের বেলায় চারার ৩ পাতা হলে প্রথম সেচের পর দুপুরে মাটি ভেজা থাকা অবস্থায় প্রতি শতাংশে ৩০০-৩৫০ গ্রাম ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করতে হয়। অন্যদিকে সেচ ছাড়া চাষের বেলায় সব ইউরিয়া সার একত্রে শেষ চাষের সময় অন্যান্য রাসায়নিক সারের সঙ্গে প্রয়োগ করতে হয়।

জমিতে বোরনের ঘাটতি দেখা দিলে বা বোরন ঘাটতি থাকলে প্রতি শতাংশে ২৫ গ্রাম করে বোরিক এসিড শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হয়। যেসব জমিতে দস্তা সারের ঘাটতি থাকে এবং আগের ফসলে দস্তা সার ব্যবহার করা হয়নি সেসব জমিতে শতক প্রতি ৫০ গ্রাম করে দস্তা সার প্রয়োগ করতে হয়। দস্তা সার শেষ চাষের সময় দেয়া ভালো। সঠিক মাত্রায় বোরনের ব্যবহারের ফলে ফসলের দানাটা পুষ্ট হয়। এটা ব্যবহার করলে দৃশ্যমান ফল পাওয়া যায়। বোরনের ঘাটতি আছে এরকম মাটিতে যেখানে বোরন দেয়া হয়নি, সেখানে গমের দানা পুষ্ট হবে না। আর যেখানে বোরন প্রয়োগ করা হয়েছে সেখানকার দানা পুষ্ট হবে।

গমের ব্লাস্ট রোগ: আক্রান্ত বীজের মাধ্যমে গমের ব্লাস্ট রোগ ছড়ায়। গমের শীষ বের হওয়া থেকে ফুল ফোটার সময় তুলনামূলক গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় থাকলে এ রোগের আক্রমণ ঘটতে পারে। পাতায় চোখের ন্যায় ধূসর বর্ণের ছোট ছোট দাগ পড়ে। শীষের আক্রান্ত স্থানে কালো দাগ পড়ে। আক্রান্ত স্থানের উপরের অংশ সাদা হয়ে যায়। শীষের গোড়ায় আক্রমণ হলে পুরো শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে যায়। আক্রান্ত শীষের দানা অপুষ্ট হয় এবং কুঁচকে যায় এবং দানা ধূসর বর্ণের হয়। পাতায় ও এ রোগের আক্রমণ হতে পারে এবং এক্ষেত্রে পাতায় চোখের মত ধূসর বর্ণের ছোট ছোট দাগ পড়ে।
   
রোগের প্রতিকার
• মাড়াইয়ের পর আক্রান্ত গম ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলতে হবে;
• উপযুক্ত সময়ে বীজ বপন করতে হবে যাতে শীষ বের হওয়ার সময়ে বৃষ্টি ও উচ্চ তাপমাত্রা পরিহার করা যায়;
• বপনের পূর্বে বীজ শোধন করলে গমের ব্লাস্ট রোগের পাশাপাশি অন্যান্য বীজবাহিত রোগও দমন হবে এবং ফলন বৃদ্ধি পাবে;
• গমের ক্ষেত ও আইল আগাছামুক্ত রাখতে হবে;
• টেবুকোনাজল + ট্রাইফ্লক্সিবিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ০.৮ গ্রাম অথবা ডাইফেনোকোনাজল + এ্যাজোক্সিস্ট্রবিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে শীষ বের হওয়ার সময় একবার এবং তার ১২ থেকে ১৫ দিন পর আর একবার স্প্রে করলে গমের পাতা ঝলসানো রোগ, বীজের কালো দাগ রোগ এবং মরিচা রোগ ইত্যাদিও দমন হবে।

সেচ প্রয়োগ:
ভালো বীজ উৎপাদনের জন্য পরিমিত সেচ দেওয়া প্রয়োজন। মাটির প্রকার ভেদে গম আবাদে ২-৩টি সেচের প্রয়োজন হয়। প্রথম সেচ ৩ সপ্তাহ পর উপরি সার ইউরিয়া দিয়ে (বপনের ১৭-২১ দিন পর), দ্বিতীয় সেচ শীষ বের হওয়ার আগে (বপনের ৫০-৫৫ দিন পর) এবং তৃতীয় সেচ দানা গঠনের সময় (বপনের ৭৫-৮০ দিন পর) দিতে হবে। তবে শুষ্ক আবহাওয়ায় ভালো ফলনের জন্য অতিরিক্ত এক বা দুটি সেচ প্রয়োজন হয়। প্রথম সেচটি খুবই হালকাভাবে দিতে হবে। তা না হলে অতিরিক্ত পানিতে চারার পাতা হলুদ হতে পারে বা চারা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেজন্য সেচের পরপরই জমি থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে। তাই বপনের পর জমির ঢাল বুঝে ২০-২৫ ফুট অন্তর অন্তর নালা কেটে রাখতে হবে।

অন্যান্য পরিচর্যা:
বপনের ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ১ম সেচের পর একটি নিড়ানী দিলে ফলন প্রায় ১০ থেকে ১২ ভাগ বৃদ্ধি পায়। বীজ বপনের পর ১০-১২ দিন পর্যন্ত পাখি তাড়ানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। জমিতে ‘জো’ অবস্থায় আগাছা দমনের জন্য নিড়ানী দিতে হবে। চওড়া পাতা বিশিষ্ট আগাছা (বথুয়া ও কাকরি) দমনের জন্য বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে এফিনিটি নামক আগাছানাশক প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে একবার স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। সময়মতো আগাছা দমন করলে ফলন শতকরা ১৫ ভাগ বৃদ্ধি পায়।

ইঁদুর দমনে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করাঃ
১. বপন পদ্ধতির ওপর ইঁদুরের আক্রমণ কমবেশি হয়ে থকে। যেমন গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, সারিতে বপন ছিটিয়ে বপনের চেয়ে ইঁদুরের আক্রমণ কিছুটা কম হয় আবার বেড পদ্ধতিতে গম আবাদ করলে ইঁদুরের আক্রমণ কম হয়।
২. বিষটোপ দিয়ে দমনঃ বিষটোপ তৈরির পদ্ধতি হলো একটি এ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে ১০০ মিলিলিটার পানির মধ্যে ১০ গ্রাম সাগু বা বার্লি মিশিয়ে জ্বাল দেয়ার পর যখন পানি ঘন আঠাল হয়ে আসবে তখন পাত্রটি নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ২৫ গ্রাম জিংক ফসফাইড ২% তার সাথে  ভালোভাবে মিশিয়ে ৯৬৫ গ্রাম গম ঢেলে দিতে হবে। পাত্রের ভিতরে গম নেড়ে চেড়ে এমন ভাবে মিশাতে হবে যেন সমস্ত গমের গায়ে কাল আবরণ পড়ে এবং পাত্রের মধ্যে জিংক ফসফাইড মিশানো সাগু বা বার্লি অবশিষ্ট না থাকে। এরপর মিশ্রিত গম ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রোদে শুকিয়ে ঠাণ্ডা করে বায়ুরোধক পাত্রে রেখে দিতে হবে। পরে সেখান থেকে নিয়ে প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে হবে। এ বিষটোপ পর পর দুই থেকে তিন দিনের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো কারণ পরবর্তীতে বিষটোপ লাজুকতা দেখা দিতে পারে।
৩. বহুমাত্রা বা দীর্ঘমেয়াদি বিষ। যেমন- লানির‌্যাট, স্টর্ম, ব্রোমাপয়েন্ট, ক্লেরাট। এসব ইঁদুরনাশক খাওয়ার ৬/৭ দিনের মধ্যেই ইঁদুর মারা যায়। এ পদ্ধতির সফলতার হার অনেক বেশি।

বীজ সংরক্ষণ :
সংরক্ষণের পূর্বে মাড়াইকৃত বীজ পরপর ২-৩ দিন রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে বীজের আর্দ্রতা শতকরা ১২ ভাগ বা তার নিচে নামিয়ে নিয়ে আসতে হবে। শুকনা গম দাঁতে চিবানোর সময় ‘কট’ করে শব্দ করে ভেঙে গেলে বুঝতে হবে ওই বীজ সংরক্ষণের উপযুক্ত হয়েছে। সংরক্ষণের পূর্বে ঝেড়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর ১.৭৫-২.৫০ মিমি ছিদ্র বিশিষ্ট চালনি দিয়ে চেলে পুষ্ট বীজ বাছাই করে নিতে হবে। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে বীজের সুস্থতা ও অংকুরোদগম ক্ষমতা বজায় থাকবে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনকে বাংলাদেশে শীতের স্থায়িত্ব কমার জন্য দায়ী করেছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আর গম আবাদও এর কারণে কমে যাচ্ছে। এছাড়া রবি মৌসুমের প্রধান তিনটি দানাদার খাদ্যশস্য বোরো ধান, গম ও ভুট্টা। এছাড়া অন্যতম অর্থকরী ফসল আলু, বিভিন্ন প্রকার ডাল, তৈলবীজসহ নানা ধরনের সবজি মাঠে থাকে । গম ফসলকে রবি মৌসুমে বোরো ধান এবং অনেক প্রয়োজনীয় ফসলি জমির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়। তবে গম আবাদ বৃদ্ধির জন্য উন্নত জাত, শ্রমিক সংকট, ইঁদুরের উপদ্রব, মাড়াইয়ের সমস্যা, গমের ব্লাস্ট রোগ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এসব বিষয়ে দৃষ্টি দিলে গম আবাদে আবারো সুদিন ফিরে আসবে।

লেখক:আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার,
কৃষি তথ্য সার্ভিস, রাজশাহী