সমীরন বিশ্বাস:সঠিকভাবে আগাছা দমন করলে এ পোকার সংখ্যা হ্রাসে কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না বলে রাসায়নিক দমন ব্যবস্থার পরামর্শ সাধারণত দেওয়া হয় না। তীব্র আক্রমণে ০.১ শতাংশ ফরমুলেশনের কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। যা হোক, যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিটল বিরাট পরিমাণে অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কীটনাশকের ব্যবহার পরিহার করা উচিত।
কচি কলার পাতা ও কলায় বিটল পোকা হাটাহাটি করে দাগের সৃষ্টি করে। যাহার ফলে কচি পাতার উপরে এবং কচি কলার উপরে দাগের সৃষ্টি করে যাহার কারনে ফলন এবং পরবর্তীতে কলে কলা বিক্রি এবং মার্কেটিং-এ একটি বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
রোগের লক্ষণ:
• কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা কচি পাতায় হাটাহাটি করে দাগের সৃষ্টি করে
• সবুজ অংশ নষ্ট করে। ফলে সেখানে অসংখ্য দাগের সৃষ্টি হয়।
• কলা বের হওয়ার সময় হলে পোকা মোচার মধ্যে ঢুকে কচি কলার উপর হাটাহাটি করে এবং রস চুষে খায় এবং দাগের সৃষ্টি করে
• কলার গায়ে বসন্ত রোগের মতো দাগ হয়।
জৈব ব্যবস্থাপনা
• পোকা আক্রান্তমাঠে বারবার কলা চাষ করা যাবে না।
• কলার মোচা বের হওয়ার সময় ছিদ্র বিশিষ্ট পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে এ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
• পোকা প্রতিরোধে হলুদ আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করুন।
• সঠিকভাবে আগাছা দমন করা
রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা
• ইমিডাক্লোপ্রিড-কৃষক বন্ধু ২০০ এসএল আক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে ২.০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভালভাবে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
লেখক: লিড-এগ্রিকালচারিস্ট, মদিনা টেক লিমিটেড, ঢাকা।