শেডের পর্দা ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের ব্রয়লার খামারীরা এখনও সজাগ নয়

ডাঃ মোহাম্মদ মুছা কালিমুল্লাহ: শেডের পর্দা ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের ব্রয়লার খামারীরা এখনও সজাগ নয়! কাগজে-কলমে বর্তমানে শীতকাল চললেও ঠান্ডা হয়তো বর্তমানে একটু কম' তবে উত্তরের জেলাগুলিতে এখনো শীতের তীব্রতা রয়েছে। এছাড়া আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের কারণে কখনো হঠাৎ করে ঠান্ডা আবার ঠান্ডা কমে যাওয়া এসব নানা কারণে মুরগির খামারে নানা সমস্যা হয়ে থাকে। ব্রয়লার খামারিদের অসাবধানতার কারণে হোক বা অসতর্কতার কারণে হোক অথবা অলসতার কারণে হোক শেডের পর্দা ব্যবস্থানার ত্রুটির কারণে প্রান্তিক পর্যায়ে এখনও ৩০-৪০% খামারে এসময় অ্যাসাইটিস সমস্যা দেখা যায়।

মুরগির শেডের পর্দাগুলি ঠিকমতো মেইনটেইন করলে এ সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দেশের অন্যতম শীর্ষ ফিড কোম্পানি নারিশ মাঠ পর্যায়ে খামারীদের এ বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করতে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সচেতন খামারীরা এ থেকে সুফলও পাচ্ছেন বলে জানান ডা. মুছা।

এগ্রিলাইফের সাথে এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন এখনো দেশের অন্তত ৪০ শতাংশ প্রান্তিক খামারিরা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। কারণ তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না এবং অনেকে আবার এই ব্যবস্থাপনা মেইনটেইন করছে না। এজন্য সেমিনারের মাধ্যমে ৫ থেকে ৬ জন খামারি সর্বোচ্চ ১০ জনকে নিয়ে নিয়মিতভাবে পকেট সেমিনার করা উচিত। আমাদের প্রাইভেট সেক্টরের অনেক কোম্পানি ডিলার পয়েন্টে বড় বড় সেমিনার করে থাকে যা থেকে কাংখিত ফলাফল পাওয়া যায় না।

তিনি বলেন, ব্রুডিংকালীন সময়ে সঠিকভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত না হলে অক্সিজেনের ডেফিসিয়েন্সি হয়। ফলের শ্বাসতন্ত্রের ডিজিজ সহ নানা রকম রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্রয়লারের তলপেটে পানি জমে যায় যেটিকে বলা হয় অ্যাসাইটিস। এসব বিষয়গুলিকে সজাগ রাখতে নারিশের কাস্টমার সার্ভিসের ভেটেরিনারিয়ানরা প্রত্যেকে প্রতি মাসে দুই থেকে তিনটি পকেট সেমিনারে আয়োজন করে। দেশের অন্যান্য কোম্পানিগুলোও যদি তাদের পণ্য বিপণন এবং প্রচারের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে মাধ্যমে ডিলার পয়েন্ট এ ধরনের সেমিনার আয়োজন করলে ব্রয়লার খামারীরা উপকৃত হবে বলে মনে করেন ডাঃ মোহাম্মদ মুছা কালিমুল্লাহ।

খামারিদের আর্থিক ক্ষতি থেকে মুক্তি দিতে এবং নিরাপদ ব্রয়লার উৎপাদনে বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থাপনা সহ রোগ প্রতিরোধী কার্যক্রমে সেক্টরের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক:ডিজিএম (সেলস এন্ড সার্ভিস), নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিঃ