এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: গবেষণায় অবদানের জন্য সেরা কৃষি উদ্ভাবক ক্যাটাগরিতে এসিআই-দীপ্ত কৃষি এ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোঃ মাসুদ রানা। তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশিং এন্ড পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এ্যাওয়ার্ড হিসেবে তিনি নগদ ১ লক্ষ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সন্মাননা সনদ পেয়েছেন।
বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে এসিআই ও দীপ্ত টেলিভিশন গত ৩ বছর যাবৎ কৃষি সেক্টরে ১০ টি ক্যাটাগরিতে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করে খামারি ও বিজ্ঞানীদের উৎসাহ প্রদান করে আসছে। এই পুরষ্কারের উদ্দেশ্য প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের মাঝে কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ করা ও নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি করা।
গবেষক মাসুদ রানা গত ২ বছর যাবৎ গবেষণা করে বাংলাদেশে প্রথম বারের মত দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প খরচে গুনগত মানের মাছের ভাসমান খাদ্য তৈরীর মেশিন (SAU Feed Mill-০১) উদ্ভাবন করেছেন। উদ্ভাবিত মেশিনটি দিয়ে দিনে ১ টন পর্যন্ত খাবার তৈরী করতে পারবে যা ছোট ও মাঝারী খামারিদের খাবারের চাহিদা কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন উদ্ভাবক।
মো: মাসুদ রানা অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, কৃষি, কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিয়ে এরকম আয়োজন কৃষি সেক্টরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং তার উদ্ভাবন নিয়ে বলেন মাছ চাষের সিংহভাগ খরচ হয় খাবার খরচ যার যোগান দিতে খামারিরা হিমশিম খায়। অন্যদিকে নিরাপদ মাছ উৎপাদনে চাই নিরাপদ মৎস্য খাদ্য।
শেকৃবি উদ্ভাবিত যন্ত্রটিতে এডভান্সড মিলিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় এটি একইসাথে ভাসমান ও ডুবন্ত খাবার তৈরি করতে পারবে, যন্ত্রটি দিয়ে খামারিরা নিজের খামারের প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজে উৎপাদন করে একদিকে মাছের উৎপাদন খরচ কমাবে অন্যদিকে স্বল্প খরচে গুনগত মানের খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের মৎস্য খামারিরা মেশিনটি ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবে বলে মনে করেন উদ্ভাবক।
শেকৃবি শিক্ষকের এই অর্জনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূইঁয়া ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শেকৃবি উদ্ভাবিত মাছের খাদ্য তৈরির মেশিন SAU Feed Mill-০১ স্বল্প খরচে নিরাপদ মৎস্য খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের মৎস্য খামারিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।