কৃষিবিদ ড. এম. মনির উদ্দিন: ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ছোট একটি দেশ; বাংলাদেশ। আজকাল, দেশটি দেশ বিদেশের খবরের শিরোনাম হচ্ছে। কিন্তু কেন? ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাজ্ঞালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ পেয়েছিলেন সম্ভবত ১৮ ডলার যার বর্তমান ডলারের মুল্যে দাড়ায় প্রায় ১৯০০ টাকা। সে সময় বিভিন্ন দেশ এবং দাতা সংস্থাগুলো ভেবেছিল সদ্য স্বাধীন এ দেশটি দাড়াতে পারবেনা বরং অনাহার, দুর্ভিক্ষ, হানাহানি আর দারিদ্রতায় নিমজ্জিত হয়ে দেশটির অস্তিত্ব শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাবে না।
তৎকালীন মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি হেনরি কিসিঞ্জার সদ্য স্বাধীন দেশটিকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু থেমে যাননি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের মানুষের মুখে আহার তুলে দেয়ার জন্য দেশে দেশে সাহায্য, সহযোগীতা চেয়েছেন।। প্রতিবেশী ভারত, কানাডা এবং রাশিয়ার সহায়তায় প্রয়োজনীয় চাঁদা জমা দিয়ে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সদস্য হন এবং পরবর্তীতে ঋনের জন্য আবেদন করেন কিন্তু সে সময় আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক ঋন দিতে চায়নি এই ভেবে যে, দেশটি ঋন পরিশোধ করতে পারবে না।
এসব প্রতিকুল অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মনোবল না হারিয়ে দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজান কৃষিকে শক্তিশালী করার জন্য। কিন্তু বেশীদিন সুযোগ পাননি একটি সুখী সমৃদ্ধ অনাহার ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার যা তার স্বপ্ন ছিল। আর্ন্তজাতিক চক্রান্তের কারনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় এই কালজয়ী নেতাকে তার পরিবারসহ যদিও সেদিন দেশের বাইরে থাকার কারনে প্রাণে বেচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
এরপর বঙ্গবন্ধ‚ কন্যা দেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০ বছরের শাসনামলে দেশটি আবার বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসারে উন্নয়নের পথে চলা শুরু করে। এর ফলে ২০ বছরে বাংলাদেশে অসাধারন উন্নয়ন সাধিত হয়। আর দেশের এই বিশাল অগ্রগতির ধারা ও অর্জনকে দেশ বিদেশের নিকট আজ এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে গিয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদুরপ্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং তার সঠিক বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে কৃষি জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসর্ম্পুতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, খাদ্য নিরাপত্তা সেইসাথে পুষ্টি নিরাপত্তা রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার যা নিয়ে বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন ইকোনমিক সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল রাইটস (ICESCR)-এর মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায় খাদ্য ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়ার অধিকারকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে গুরুত্বারোপ করেছে।
অপুষ্টির কারনে বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়নের ও বেশী মানুষ স্থুলতা, অতিরিক্ত ওজন, কম ওজনসহ নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৪৫ শতাংশ মৃত্যুর কারন এই অপুষ্টি। ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু অপুষ্টিজনিত কারনে বেঁটে বা খাটো হয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে বিশ্বে ভিটামিন-এ এর ঘাটতিজনিত কারনে ২৩,৮০০ জন এবং জিংকের ঘাটতিজনিত কারনে ২৮১০ জন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মারা গিয়েছে।
দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ মানুষের এখনো খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে ৬ লাখ শিশু। দেশের ৬ মাস বয়স থেকে ৫ বছরের বয়সের মধ্যে ৪৩ শতাংশ শিশু অ্যানেমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৮ শতাংশ শিশু অপুষ্টির কারনে খাটো বা বেঁটে হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ শিশুর ওজন তুলনামুলকভাবে কম। মহিলাদের এক তৃতীয়াংশের ওজন কম এবং ১৩ শতাংশ উচ্চতায় খাটো যাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় নানা জটিলতা দেখা দেয় এবং কম ওজনের শিশুর জন্ম দেয়। দেশের প্রায় অর্ধেক নারী অ্যানেমিয়ায় ভুগছে যার মুল কারন অপুষ্টি। অপুষ্টির কারনে বাংলাদেশকে প্রতিবছর উৎপাদনশীলতা হারানোর জন্য এক বিলিয়নেরও বেশী ক্ষতি হয়।
এটি চরমভাবে সত্য যে, ক্ষুধা ও অপুষ্টিকে দুর না করে কোন দেশ তার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারেনা। আর এটাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সী ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (USAID)-এর এক গবেষনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ প্রতিবছর অপুষ্টির কারনে এক বিলিয়ন ডলারের সমপরিমানের উৎপাদনশীলতা হারাচ্ছে। আর এ জন্যই ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনের সময়ের মধ্যে সেইসাথে উন্নত দেশের তালিকায় আসতে হলে অবশ্যই সরকারকে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক বিনিয়োগ করা আবশ্যক।
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২২ অনুসারে, বাংলাদেশের স্কোর ১৯ দশমিক ৬ যা ১২১টি দেশের মধ্যে ৮৪তম অবস্থানে রয়েছে যা ২০২০ সালে ৭৫তম অবস্থানে ছিল। এটা স্পষ্টভাবে বলে যে, কোভিড-১৯ মহামারী অগ্রগতিকে বীপরিতমুখী করেছে। আইরিশ সাহায্য সংস্থা কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড এবং জার্মান সংস্থা ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফের যৌথভাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ তার দক্ষিন এশিয়ার প্রতিবেশী পাকিস্তান (৯৯তম), ভারত (১০৭তম) এবং আফগানিস্তান (১০৯তম) থেকে ভাল করেছে।
২০২২ সালের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স আমাদেরকে এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি করে। সেইসাথে ইউক্রেনের সংঘাত, কোভিড-১৯ মহামারী এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের কারনে একদিকে যেমন লক্ষ লক্ষ মানুষকে খাদ্য সংকটের ঝুকিতে ফেলেছে সেইসাথে খাদ্য, সার এবং জ্বালানীর বৈশ্বিক সরবরাহ ইত্যাদি এই সংকটকে আরো বিপর্যয়ে পরিণত করেছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হলো ভিটামিন এবং খনিজ যা মানুষের শরীরের জন্য অতি সামান্য পরিমানে প্রয়োজন। শরীরের উপর মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন এবং এদের যে কোনটির দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি হলে গুরুতর অসুস্থতার কারন হতে পারে। শরীরের উপযুক্ত বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম, হরমোন ও অন্যান্য পদার্থ তৈরী করার জন্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট দরকার। আয়রন, জিংক এবং আয়োডিনের ঘাটতি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশী এবং এর মধ্যে শিশু ও নারীদের মধ্যে এর ঘাটতি সর্বাধিক।
ক্যালরি যোগানের ক্ষেত্রে ২০১০ সালেই দেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছে যার পরিমান মাথাপিছু প্রতিদিন ক্যালরি গ্রহনের হার ছিল ২৩১৮ কিলো ক্যালরি যা অনুমিত আবশ্যক হার ২১২২ কিলো ক্যালরি থেকে অনেক বেশী। দেশে দারিদ্রতার হার ১৯৯১-৯২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ৫৬.৬ শতাংশ থেকে দ্রুত হারে ৩১.৫ শতাংশে নেমে এসেছিল যদিও পরবর্তীতে কোভিড-১৯ এর পর আবার কিছুটা বেড়েছে। এক আন্তঃদেশীয় গবেষনায় দেখানো হয়েছে, ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে শিশু অপুষ্টির হার দ্রুত কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সর্বাধিক অগ্রসর দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। মাতৃপুষ্টির হার একই সময়ে ৫২ শতাংশ থেকে নেমে ১৭ শতাংশে এসেছে।
বাংলাদেশ গত দুই দশকে জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি অবস্থার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। বাংলদেশ হেলথ অ্যান্ড ডেমোগ্রাফিক সার্ভে (BDHS) ২০২২ এর তথ্য মতে, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ২৪ শতাংশ স্টান্টেড বা খাটো যার মধ্যে ৬ শতাংশ অতিমাত্রায় খাটো, ১১ শতাংশ ওয়াস্টেড যার ২ শতাংশ অতিমাত্রায় ওয়াস্টেড, ২২ শতাংশ কম ওজনের যার ৪ শতাংশ অতিমাত্রায় কম ওজনের। স্টান্টিয়ের হার ২০১৭-১৮ সালের ৩১ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সময়ে কম ওজনের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হয়নি।
বাংলাদেশ জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সার্ভে ২০১৯-২০ অনুযায়ী দেশে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বিশেষ করে ভিটামিন- এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন বি-১২, জিংক, ফোলেট, আয়রন এবং অ্যানেমিয়ার উচ্চ ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। সরকার এসব বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন নীতির মাধ্যমে খাদ্যে ফর্টিফিকেশন করে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি মোকাবেলার জন্য কাজ করছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে স্থিতিস্থাপক খাদ্য ব্যবস্থার জন্য ৫টি পরামর্শ প্রদান করেছেন যা নিম্নরূপঃ
১) কৃষি উন্নয়নের জন্য গবেষণা, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি ভাগাভাগি।
২) টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা অর্জনের জন্য উন্নয়ন দেশগুলোর জন্য তহবিল বর্ধিতকরণ।
৩) আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক জোট ও অংশদারিত্বের বিকাশ বা উন্নয়ন।
৪) দেশগুলোর মধ্যে সহযোগীতার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় কমানো।
৫) টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য প্রযুক্তি ভাগাভাগিসহ জলবায়ুর বিরুপ পরিস্থিতে খাপ খাইয়ে নিতে প্রতিশ্রুতি তহবিল বিতরণ করা।
বাংলাদেশের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়নে কয়েকটি উন্নয়ন অংশীদার সংস্থা কাজ করছে যার মধ্যে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (GAIN) অন্যতম। গেইন একটি সুইস ভিত্তিক ফাউন্ডেশন যা ২০০২ সালে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের ১১তম সভায় প্রতিষ্ঠিত হয়। গেইন এর লক্ষ্য হলো ২০২৭ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার সহজলভ্য করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবারে ২৫ মিলিয়ন মানুষের সক্ষমতা বাড়ানো। কোভিড-১৯ মহামারী, ইউক্রেনে সংঘাত এবং জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারনে বিশ্বব্যাপী অপুষ্টি ও ক্ষুধার অবস্থান ২০১৯ সাল থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে যা গত এক দশকের অগ্রগতির বীপরিতে গিয়েছে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বাংলাদেশে গেইন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন অংশীদার, জাতিসংঘের সংস্থা, বেসরকারী খাত, সুশীল সমাজ এবং একাডেমিয়া সহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে অংশদারিত্বে প্রায় ১ যুগ ধরে কাজ করে আসছে। গেইন বাংলাদেশের পোর্টফোলিওর মধ্যে রয়েছে তেল, চাল ও লবনের ফর্টিফিকেশন নিয়ে সরকারের সাথে লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন (LSFF) কর্মসুচী, জিংকের ঘাটতি মোকাবেলায় বায়োফর্টিফাইড চালের বানিজ্যিকীকরণ (CBC) কর্মসুচী, কিশোর ও যুবকদের পুষ্টির উপর স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রচার ও কর্মশক্তির উন্নয়ন, পুষ্টি (WFN), কিপিং ফুড মার্কেট ওয়ার্কিং (KFMW) খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য লিডারশীপ (LEAN), মাল্টিপল মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সাপ্লিমেন্টেশন (MMS), সান বিজনেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বেসরকারী খাতের অন্তর্ভুক্তি (SBN) এবং ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড। গেইন বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নত দেশে পরিনত করার লক্ষ্য নিয়ে পুষ্টি সেক্টরে অবদান রেখে চলেছে।
বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনের জন্য স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। পুষ্টির ফলাফল অর্জনের জন্য সামাজিক আচরন পরিবর্তন যোগাযোগ (SBCC) এবং পুষ্টি সংবেদনশীল কার্যক্রম নেয়া অত্যাবশ্যক। এসডিজি’র ২, ৩, ১২ এবং ১৩ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সাশ্রয়ী মুল্যে বৈচিত্র্যযুক্ত খাবারের ব্যবহার, পুষ্টি গ্রহনের প্রচার এবং স্বাস্থ্যকর ও টেকসই খাবারের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য সরকারী পর্যায় থেকে বিনিয়োগ করা বিশেষভাবে প্রয়োজন।
বর্তমান কৃষি ও জনবান্ধব সরকারের প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সার্বিক উন্নয়নের যে কার্যক্রম চলছে তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বাংলাদেশ আগামীদিনে এশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী অর্থণীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে অনেক দেশই হতবাক। বিশ্ব রাজনীতিতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বিচক্ষনতার মাধ্যমে দেশের ভাবমুর্তিকে উজ্জল করার পাশাপাশি আর্ন্তজাতিক ভুরাজনীতিতে শক্ষিশালী বিশ্বনেতার আসনে অবস্থান করে নিয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিশৃুতিবদ্ধ এবং তিনি অত্যন্ত সচেতন যে, একটি শক্তিশালী, সুস্থ এবং কর্মক্ষম জাতি ছাড়া সে লক্ষ্য পুরণ সম্ভব নয়। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ এবং সুনির্দিষ্ট কর্মসুচীর মাধ্যমে দেশের মানুষের অপুষ্টি দুরীকরনে প্রয়োজনীয় কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করবেন বলে আশা করছি।
লেখক- কনসালট্যান্ট, গেইন বাংলাদেশ