স্কুল মিল প্রোগ্রাম; পুষ্টিসমৃদ্ধ মেধাবী জাতি গঠনের আঁতুরঘর

কৃষিবিদ ড. এম. মনির উদ্দিন: গত জুলাই মাসের ২৪ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত ইতালীর রোমে জাতিসংঘের আয়োজনে আর্ন্তজাতিক ফুড সিস্টেম সামিট ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। সামিটে বিশ্বব্যাপী শিশুরা যে অপুষ্টিতে ভুগছে তা দুর করার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্কুল মিল কর্মসুচী চালু করা হয় এবং মুলত এর সফলতার দিক বিবেচনায় নিয়ে দেশে বিস্তৃতভাবে এটি চালু করার জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়। পুর্ববতী সামিটে স্কুল মিল চালু করা সদস্য রাস্ট্রগুলোকে নিয়ে একটি স্কুল মিল কোয়ালিশন গঠন করা হয়। বাংলাদেশ স্কুল মিলস কোয়ালিশন এর ৮৫তম সদস্য রাস্ট্র।

জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল আমিনা মোহাম্মদ বলেন, স্কুল ফিডিং কর্মসুচীতে খাদ্য ব্যবস্থার সমস্যাগুলো নিরসনে একটি অতুলনীয় সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন যে, আমরা অনেক দুর এগিয়েছি কিন্তু লক্ষ লক্ষ দুর্বল শিশু এখনো স্কুল ফিডিং কর্মসুচীতে আসতে পারেনি। আফ্রিকা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা ক্রিস্টিনা ডুয়ার্ডেও স্কুল ফিডিং কর্মসুচীর বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, স্কুল ফিডিং কোন পাবলিক খরচ নয় বরং একটি বিনিয়োগ।

অপুষ্টির অনেক অর্ন্তনিহীত কারন রয়েছে যার মধ্যে দারিদ্রতা অন্যতম। সেইসাথে অধিকাংশ পরিবার শিশুর শারীরিক ও মেধার বিকাশে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এর ভুমিকা বা গুরুত্ব সর্ম্পকেও সচেতন নয়। ভাত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ আমাদের প্রধান খাবার যার উপর শিশুরা বেশী নির্ভরশীল অথচ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এর দিক দিয়ে অত্যন্ত কম। ভাল পুষ্টির জন্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ বৈচিত্রময় খাদ্য প্রয়োজন। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ফর্টিফাইড স্কুলের খাবার শিশুদের খাদ্যের চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। পুষ্টিকর খাবার শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ এবং সুস্থ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।

বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলো স্তুপাকার হয়ে উঠছে এবং অসামঞ্জস্যপুর্নভাবে শিশুদের প্রভাবিত করছে। ইতালীর রোমে হয়ে যাওয়া ফুড সিস্টেম সামিটে যে চিত্র উঠে এসেছে তা অত্যন্ত ভয়াবহ। অদ্যাবধি ৩ বিলিয়ন মানুষ নিম্নমানের খাবার গ্রহন করছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে অর্ধেকেরও বেশী কিশোরী তাদের প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট চাহিদা পুরন করছেনা। তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা ১৫৩ মিলিয়ন শিশুকে প্রভাবিত করছে এবং এ সংখ্যা আক্রান্ত সমস্ত মানুষের প্রায় অর্ধেক। সামিটের তথ্য অনুযায়ী, আমরা আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গভীর শিক্ষা সংকটের মধ্য দিয়ে বসবাস করছি। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ১০ বছর বয়সীদের প্রায় ৭০ শতাংশ একটি সাধারন বাক্য পড়তে বা লিখতে পারেনা এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলির প্রায় ৭৩ মিলিয়ন স্কুলছাত্রী ক্ষুধার্ত অবস্থায় স্কুলে যায়।

স্টান্টিং জাতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির জন্য নীরব হুমকি, বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ শিশুর স্বাস্থ্য এবং বিকাশের উপর প্রভাব ফেলেছে। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২২ সালে ৫ বছরের কম বয়সী ১৪৮.১ মিলিয়ন শিশু স্টান্টিং এর শিকার হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী এই ঝুকিপুর্ন বয়সের প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে একজন এই ঝুকির মধ্যে পড়ে। বলা যায় যে, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে স্টান্টিং হারকে অর্ধেক করার জন্য প্রয়োজনীয় গতিপথ থেকে আরো দুরে সরে যাচ্ছি। FAO এর তথ্যমতে, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আনুমানিক ১৪৯ মিলিয়ন (২২ শতাংশ) স্টান্টেড, ৪৫ মিলিয়ন (৬.৭ শতাংশ) ওয়াস্টেড এবং ৩৯ মিলিয়ন (৫.৭ শতাংশ) অতিরিক্ত ওজনের ছিল।

সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্কুল শিশুদের জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ গুড়ো দুধ দিয়ে সর্বপ্রথম স্কুল ফিডিং কর্মসুচী চালু করেছিলেন যদিও পরবর্তীতে এটি বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল ফিডিং কর্মসুচীর মুল উদ্দেশ্য হলো-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের মাঝে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে শিশু অপুষ্টি দুর করা এবং দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিশুদের উপস্থিতির হার বাড়িয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমাপ্তির হার বৃদ্ধি করা।

বাংলাদেশে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১,১৮,৮৯১টি যেখানে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২২ মিলিয়ন। বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে দেশের ১০৪টি উপজেলায় ১৫,০০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম চালু করে যার মাধ্যমে প্রায় ২৩ লাখ শিক্ষার্থী বিনামুল্যে খাবার পায়। সম্প্রতি সরকারের সাথে ডব্লিউএফপি’র নুতন চুক্তি হয় যার মাধ্যমে দেশের ১৫০টির ও বেশী উপজেলায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চলবে এবং মোট সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখে উন্নীত করা হয়েছে। পররাস্টমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, স্কুল ফিডিং এর কারনে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ঝড়ে পড়ার হার ৭.৫ শতাংশ কমেছে এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার ১৪ শতাংশ বেড়েছে।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন ও শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে যার ফলে দেশে দারিদ্র হ্রাস ও শিশুর পুষ্টি, মৃত্যুহার এর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ তরুন (১০-২৪ বছর)। এই তরুনরাই আগামীদিনে দেশের উৎপাদনশীলতায় গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। তবে এ জন্য তরুনদের দক্ষভাবে তৈরী করা অত্যন্ত জরুরী। শিক্ষা এই দক্ষতা তৈরীর অন্যতম হাতিয়ার। বর্তমান সরকার মান সম্পন্ন শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে তবে মান সম্পন্ন শিক্ষার সাথে স্কুল মিলস কর্মসুচী অত্যন্ত সহায়ক একটি কর্মসুচী। স্কুল মিল প্রোগ্রাম পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা পুরনে ভুমিকা রাখে যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবদান রাখে এবং এ জন্য শিশুদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জ্ঞানীয় অর্জন এবং উৎপাদনশীলতায়ও অবদান রাখে।

স্কুল মিল প্রোগ্রামের উদ্দেশ্যাবলীঃ
১. প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক স্তরের সকল শিশুকে স্কুলে ভর্তি করা, স্কুলে উপস্থিতি বাড়ানো, পাঠে মনোযোগ বাড়ানো এবং স্কুলে শিশুদের ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ানো।
২. খাদ্য সরবরাহের মান সম্মত পদ্ধতি প্রণয়ন এবং প্রয়োগ করা যা শিশুদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্য ঝুকিমুক্ত হয়।
৩. স্কুলের দিনের ক্ষুধা দুর করে স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক যোগাযোগের সময়কাল এবং গুণমান বৃদ্ধি করা যাতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুধামুক্ত, আনন্দদায়ক এবং অনুকুল পরিবেশে শিখতে পারে।
৪. স্কুলে শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পুরনে ঐতিহ্যবাহী খাদ্যাভাস, সংস্কৃতি ও দেশীয় মুল্যবোধ সংরক্ষনে স্থানীয় সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করা। এইভাবে স্বাস্থ্যকর, সক্ষম ও মেধাবী মানব সম্পদের জন্য শক্তিশালী ভিত্তি তৈরী করতে সহায়তা করা।

গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের স্থির অর্থনৈতিক প্রবুদ্ধি বজায় থাকায় মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। দেশের প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক বয়সের প্রায় ২২ মিলিয়ন শিশুর মধ্যে তালিকাভুক্তির হার ৯৫ শতাংশের বেশী রাখা সেইসাথে মান সম্পন্ন শিক্ষার ব্যবস্থা বাংলাদেশ সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্ষুধা হ্রাস প্রাথমিক শিক্ষার সার্বজনীন কভারেজ পৌছানোর জন্য, ছেলেমেয়েদের দীর্ঘ সময়ের জন্য স্কুলে রাখা এবং ঝড়ে পড়ার হার কমানোর পাশাপাশি সামাজিক, লিঙ্গ ও আঞ্চলিক বৈষম্য কমাতে সহায়ক ভুমিকা পালন করছে।

বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় ২০০১ সালে ডব্লিউএফপি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ফর্টিফাইড বিস্কুট দিয়ে স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম সীমিত আকারে চালূ করে এবং এর উদ্দেশ্য ছিল স্কুলে তালিকাভুক্তির হার বাড়ানো, মনোযোগ ও স্কুলে ধরে রাখার উন্নতি করা এবং স্কুল বয়সী শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি কমানো। এরপর ২০১১ সালে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে শিশুদের জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা বেস্টনীর জন্য দরিদ্র প্রবণ এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম (SFPPA) চালু করে। স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের ইতিবাচক ফলাফলের ভিত্তিতে সরকার বিস্কুটের পরিবর্তে হোম গ্রোন স্কুল ফিডিং (HGSF) চালু করার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে। HGSF পদ্ধতিটি সরকার কর্র্তৃক গৃহীত হয়েছে যা ২০১৩ সালে GAIN Bangladesh এবং ডব্লিউএফপি পদ্ধতিটি দেশের কিছু এলাকায় পরীক্ষামুলকভাবে চালু করে।

ইতিমধ্যে সরকার হোম গ্রোন স্কুল ফিডিং মডেলটি সারাদেশে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় স্কুল খাবার নীতির (NSMP) সাথে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের কাছে পৌছানো। NSMP মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। NSMP বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের শিশুদের জন্য একটি নিরাপত্তা বেস্টনী প্রদান করতে সক্ষম হবে যারা এর মাধ্যমে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে নিয়োজিত হবে।

ইউক্রেন সংঘাতের কারনে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে এবং এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শিশুদের পুষ্টির উপর। এর ফলে অনেক দেশই স্কুল মিল প্রোগ্রাম নিয়মিতভাবে চালাতে ব্যর্থ হবে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে এবং এর দায়ভার থেকে জাতিসংঘ কখনোই এড়াতে পারেনা। যেহেতু জাতিসংঘ বিশ্বের চলমান যুদ্ধ সংকট নিরসনে ব্যর্থ হয়েছে সেহেতু এর ফলে আর্ন্তজাতিক বাজারে কৃষিপণ্যের মুল্যের যে অস্থিরতা সেটার জন্যও জাতিসংঘ অনেকাংশেই দায়ী। কিন্তু এর ফলে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শিশুরা ক্ষুধার্ত অবস্থায় স্কুলে যেতে পারেনা। এ সমস্ত দেশের শিশুরা কেন তার প্রয়োজনীয় খাবার থেকে বঞ্চিত হবে? তাই স্কুল মিল কোয়ালিশনে জাতিসংঘকে প্রয়োজনীয় তহবিল যথাসময়ে যোগান দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিত যাতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর সরকার স্কুল মিল প্রোগ্রাম সফলভাবে চালাতে পারে।

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এসডিজি’র প্রতিটি লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কর্মসুচি নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এবং সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহন তার মধ্যে অন্যতম। GAIN Bangladesh প্রায় ১ যুগ ধরে বাংলাদেশে অপুষ্টি দুর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং স্কুল ফিডিং কর্মসুচিও পরীক্ষামুলকভাবে দেশের কয়েকটি উপজেলায় বাস্তবায়ন করেছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা বিভাগ স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে টেকনিক্যাল সহায়তার জন্য গেইন বাংলাদেশকে যুক্ত করতে পারে। সর্বোপরি, দেশব্যাপী স্কুল ফিডিং কর্মসুচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা যদি শিশুদের অপুষ্টি দুর করতে সমর্থ হই তাহলে অবশ্যই আমরা আগামীতে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য মেধাবী জাতি পাবো।

লেখক: কনসালট্যান্ট, গেইন বাংলাদেশ