ইসলামিক ডেস্ক: সামাজিক জীবনে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র এ নিয়েই আমাদের চলতে হয়। আর জীবনযাপনকে সুশৃঙ্খল করার জন্য ইসলাম আমাদেরকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে। পরিবারের একে অপরের অধিকারের প্রতি লক্ষ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কুরআনে নির্দেশ এসেছে- ‘তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) সাথে উত্তম আচরণ করো।’ (সূরা নিসা-১৯) রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম হলো সে, যে তার পরিবারের কাছে সর্বোত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে সর্বোত্তম।’ (আবু দাউদ-৪৬৮২)
রাসূলুল্লাহ সা: আমাদেরকে দিয়েছেন একটি পূর্ণাঙ্গ ফর্মুলা ‘ইসলাম’। ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও বৃদ্ধকালের প্রতিটি বিষয় ইসলামে বর্ণিত হয়েছে। যেমন একটি শিশুকে সালাত ও ধর্মের প্রতি অভ্যস্ত করে তুলতে রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে সালাতের কথা বলো। ১০ বছর হলে তাকে শাসন করো ও বিছানা আলাদা করে দাও।’ (আবু দাউদ-৪৯৫)
শিশু-কিশোরদের আদব ও শিষ্টাচার শিক্ষার ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশ- ‘যে ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান করে না সে আমার উম্মত নয়।’ (তিরমিজি-১৯২১) যুবকদের প্রতি ইসলাম বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘বার্ধক্যের আগে যৌবনের মূল্যায়ন করো।’ (তারগিব তারহিব-৩৩৫৫)
ইসলাম একে অপরের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ আচরণ করতে আদেশ দিয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ করো না। একে অপরের পেছনে পড়ে দোষ তালাশ করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা ও ভাই ভাই হয়ে থাকো। মুসলমান মুসলমানের ভাই। মুসলমান মুসলমানের প্রতি জুুলুম করে না এবং তাকে অপদস্থ ও হেনস্তা করে না।’ (মুসলিম-১৫১০)
আসুন আমরা একে অপরের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ আচরণ করি। কারো সাথে হিংসা-বিদ্বেষ, ঝগড়া-ঝাটিতে লিপ্ত না হই। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে সুপথে চলার তাওফিক দিন।-আমিন