বৃষ্টি আল্লাহ তায়ালার অন্যতম নিয়ামত

ইসলামিক ডেস্ক: কয়েকদিন থেকে রাজধানী ঢাকা সহ অনেক জেলায় এক টানা গরমে অতীষ্ঠ হয়ে চলেছে জনজীবন। এসময় হালকা একটু বৃষ্টি হলে মানুষের কষ্ট লাঘব হতো। কিন্তু বৃষ্টির দেখা মিলছে না। আমরা মহান রাব্বুল আলামিনের অপার নিয়ামত ও রহমতের উপরই বেঁচে আছি। বৃষ্টিও ঠিক আল্লাহ তায়ালার অন্যতম নিয়ামত। আর আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণের সাথে আল্লাহ অনেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকেন। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের রিজিক উৎপন্ন বা বন্টন হয়ে থাকে। মূলত আল্লাহর হুকুম ব্যতীত এই বৃষ্টি বর্ষিত হয় না।

‘তিনিই আল্লাহ, যিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃজন করেছেন এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জন্য ফলের রিজিক উৎপন্ন করেছেন এবং নৌকাকে তোমাদের আজ্ঞাবহ করেছেন, যাতে তাঁর আদেশে সমুদ্রে চলাফেরা করে এবং নদ-নদীকে তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন।’ (সূরা ইবরাহিম, আয়াত-৩২)

নবী করিম সা: বৃষ্টিতে একবার বের হয়েছিলেন এবং শরীরে পানি লাগিয়ে ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কেন তিনি এমনটি করেছেন? তখন তিনি বললেন, বৃষ্টিকে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বরকত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতি বেশি খুশি হলে তিনটি জিনিস দান করেন। সেগুলো হলো- কন্যা সন্তান, মেহমান ও বৃষ্টি।

বর্ষা মৌসুমে অধিক বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি বেশি হলেই অনেকে নানান কথা বলে থাকেন। কিন্তু বৃষ্টির সময় রাসূলুল্লাহ সা: থেকে কয়েকটি করণীয় প্রমাণিত। প্রিয়নবী সা: বৃষ্টি বর্ষণ ও বজ্রপাত সম্পর্কে বলেছেন, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেছেন, ‘আমার বান্দারা যদি আমার বিধান যথাযথভাবে মেনে চলত, তবে আমি তাদের রাতের বেলায় বৃষ্টি দিতাম আর সকাল বেলায় সূর্য (আলো) দিতাম।

আসুন আমরা আমাদের রবের নির্দেশনাগুলি মেনে চলি। নিশ্চয়ই মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের তার রহমতের সুশীতল ছাঁয়া থেকে বঞ্চিত করবেন না।-আমিন