ইসলামিক ডেস্ক:ইন্টারনেটের যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে করে অনেকে যেমন ইতিবাচক কাজ করে থাকে তেমনি নানা ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করে তারকা বলে যেতে চায় অনেকে। তেমনি একটি অ্যাপের নাম হচ্ছে টিক টক। উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা এই নেশায় বুদ হয়ে উঠেছে। অথচ এই টিকটক বানাতে গিয়ে কত প্রাণ যে ঝরে গেছে তার ইয়ত্তা নেই।
অশ্লীলতা, ঠাট্টা-বিদ্রুপে পরিপূর্ণ এসব ভিডিও তৈরি করা ইসলামের দৃষ্টিতে খুবই জঘন্য পাপ। দুনিয়া ও আখিরাতে যার জন্য ভয়াবহ শাস্তিও ঘোষণা এসেছে। যতজন এই ভিডিওগুলো দেখবে সবার পাপের একটি অংশ ভিডিও নির্মাতা পেতে থাকবে। এমনকি মৃত্যুর পরও এই গুনাহ জারিয়াহ বা চলমান হিসেবে আমলনামায় যোগ হতে থাকে।
সুতরাং আমাদের সমাজের তরুণ-তরুণীদের এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে কুরআন ও হাদিসের নীতিমালা অনুসরণ করা কাম্য। প্রিয় নবীর অনুসরণ ও অনুকরণ ছাড়া ধরাধামে কেউ উত্তম চরিত্রের অধিকারী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না।
কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সূরা আজহাব-২১)। হাদিস শরিফে রাসূল সা: ইরশাদ করেন ‘আমি উত্তম চরিত্রের পরিপূর্ণতা সাধনের জন্যই প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত)
আমাদের সমাজের একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা মানুষকে গুনাহের দিকে আহ্বান করে নিজেরাও ধ্বংসে নিপতিত হচ্ছে সাথে অন্য মানুষকে ধ্বংসের গহ্বরে তলিয়ে দিচ্ছে যা একটি সমাজ ও জাতির জন্য বিরাট হুমকিস্বরূপ।
এ ব্যাপারে প্রিয় নবী সা: ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষকে নেককাজের দাওয়াত দেবে সে ওই লোকদের সপরিমাণ সওয়াব পাবে; যারা তার দাওয়াত পেয়ে নেককাজ করবে অথচ তাদের সওয়াবের সামান্যও হ্রাস পাবে না। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি মানুষকে গুনাহের কাজে আহ্বান করবে সে ওই লোকদের সমপরিমাণ গুনাহ পাবে, যারা তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গুনাহের কাজ করবে। অথচ তাদের গুনাহ হ্রাস পাবে না।’ (মুসলিম শরিফ-৬৯৮০)
সুতরাং আমাদের এ ব্যাপারে হুঁশিয়ার হতে হবে। তা হলে একটি পরিবার একটি সমাজ সুন্দর হয়ে উঠবে খুব সহজে। তখনই সার্থক হবে আমাদের পরিবার, পরিজন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সব প্রকার গুনাহ থেকে হিফাজত করুন।-আমিন