ইসলামিক ডেস্ক:ধন-সম্পদ অর্থবিত্ত সবকিছুই মহান আল্লাহ তায়ালার অপূর্ব নিয়ামত। রাব্বুল আলামিন মানুষকে অর্থ সম্পদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। কেবলই আমোদ-প্রমোদের নামে আমরা যেন আল্লাহর এই নিয়ামতকে যত্রতত্র উড়িয়ে না দেই। আমরা যেন তার দেওয়া ধন সম্পদকে সঠিক পথে ব্যয় করি অযথা অপচয় না করি। বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব এক সংকটকালীন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত হবে অযথা অপব্যয় না করা। মানুষ প্রবৃত্তির নেশায় পড়ে আল্লাহর দেওয়া অর্থ-সম্পদ গুনাহের কাজে ব্যয় করে।
পবিত্র কোরআনে এ ধরনের অপব্যয়ের অসুস্থ প্রতিযোগিতার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অর্থ ব্যয়ে সীমা লঙ্ঘন করো না। আল্লাহ অপব্যয়কারীদের পছন্দ করেন না। ’ (আল আনআম, আয়াত : ১৪১)
মহান আল্লাহর দেওয়া সম্পদ তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতিতেই খরচ করতে হবে। মহান আল্লাহর নির্দেশনা অমান্য করা তাঁর দেওয়া নিয়ামতের না শোকরির শামিল। মুমিন কখনো এ রকম অকৃতজ্ঞতামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করতে পারে না। এ জন্য অপব্যয়কারীদের পবিত্র কোরআনে শয়তানের ভাই আখ্যা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অপব্যয় করো না। অপব্যয়কারীরা শয়তানদের ভাই। আর শয়তান তার মনিবের চরম অকৃতজ্ঞ। ’ (বনী ইসরাঈল, আয়াত : ২৬-২৭)
এর মানে আবার এই নয় যে নিজেদের প্রয়োজনীয় যৌক্তিক কাজে খরচ করার ক্ষেত্রেও কৃপণতা করবে, নিজেদের যৌক্তিক খরচের ক্ষেত্রে কৃপণতা করার সুযোগ নেই। আবার অতি উৎসাহী হয়ে খরচে সীমালঙ্ঘন করারও সুযোগ নেই। সব ক্ষেত্রেই মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে হবে।
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘(এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারাই) যারা ব্যয় করার ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘনও করে না, আবার কৃপণতাও করে না; বরং তারা উভয় চরম পন্থার মধ্যবর্তী অবস্থান করে। ’ (সুরা ফুরকান, আয়াত : ৬৭)
আসুন আমরা কেহই অযথা অপব্যয় না করি; মহান রাব্বুল আরামিনের নির্দেশিত পথে জীবনযাপনে সচেষ্ট হই। মহান আল্লাহ আমাদের সুবুদ্ধি দান করুন। অপব্যয় থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন।-আমিন