ইসলামিক ডেস্ক:মূল্যস্ফীতির কারণে বর্তমান সময়ে আমরা সবাই অর্থনৈতিক সঙ্কট ও নানা সমস্যায় ভুগছি। এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে একে অপরের সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসা একান্ত কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুনিয়ার এই সংক্ষিপ্ত জীবনে আমরা যদি সৃষ্টির সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসি, তবে পরকালের অনন্ত জীবনে মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই আমাদের সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন।
রাসূলুল্লাহ সা:-এর সমগ্র জীবনই ছিল মানবসেবার মহান দৃষ্টান্ত। নবুওয়াতের আগে তিনি সমাজসেবা, অসহায়-অভাবীদের সাহায্য-সহযোগিতা এতিম-গরিবদের প্রতি সহায়তা-সহানুভূতি ও গরিব-দুঃখীদের দায়িত্ব গ্রহণসহ বহু জনকল্যাণ কাজের জন্য ছিলেন সুপরিচিত ও প্রসিদ্ধ। নবুওয়াত লাভের পর মানবতার জন্য তাঁর অনুগ্রহ ছিল নজিরবিহীন। পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন মানবতার জন্য। তিনি শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, তাকে প্রেরণ করা হয়েছে সবার জন্য। সঙ্গত কারণেই গোটা জাতির প্রতি ছিল তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, মায়া-মমতা ও ইহকাল-পরকালের মুক্তির জন্য ছিল তার অক্লান্ত সংগ্রাম-প্রচেষ্টা। তাই আমাদের কর্তব্য তার উত্তম আদর্শের অনুসরণ করা ও মানবসেবাকে নিজেদের জীবনের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে নেয়া।
আমাদের বর্তমান সমাজে এখন হৃদয়বান লোকের বড় ভাব। মজলুম-নিপীড়িতদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। লাখ লাখ মানুষের মধ্যে এমন এক হাজারও পাওয়া যাবে না, যারা দরিদ্রদের সাহায্য-সহযোগিতা করতে চায়। অসুস্থ-দুর্বলদের ভালোবাসতে চায়। অনেক ধনী ব্যক্তি আছেন জনকল্যাণমূলক কাজে সক্রিয় বটে; কিন্তু দরিদ্র নিকটাত্মীয়ের প্রতি খেয়াল রাখেন না। জনকল্যাণমূলক কাজ ও অসহায়-দুস্থদের সাহায্য-সহযোগিতায় সক্রিয় থাকা যেমন জরুরি, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও ব্যবসায়-বাড়ির কাজ করে এমন অভাবী লোকদের সেবা ও সাহায্য-সহযোগিতা করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
আসুন বর্তমান কঠিন সময়ে আমরা সাধ্যমতো বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াই। আল্লাহ সবাইকে তৌফিক দান করুন।-আমীন