ইসলামিক ডেস্ক:মানুষ কখনো কখনো আল্লাহর নির্দেশিত পথ থেকে দূরে সরে গিয়ে নানা রকম পাপাচারে নিমজ্জিত হয়। এর ফলে অনেক সময় সাময়িকভাবে সুখের অনুভূতি পেলেও পাপের বোঝা তাকে বারবার পীড়া দেয়। এর পলে একরকম মানসিক অস্বস্তি বোধ করে। একসময় সে অনুতপ্ত হতে চায়। আর এই অনুতপ্ত হওয়ার তাগিদ থেকেই সে তওবা করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে চায়।
তাওবা একটি মহান শব্দ যার অর্থ ফিরে আসা। তাওবার দহনেই পাপে কলুষিত আত্মা মনিবের সাথে নবরূপে মিলিত হয়। মহান আল্লাহ চান তাঁর বান্দারাও যেন গুনাহ করার সাথে সাথে তাওবা করে নেয়। তাওবা জান্নাত প্রাপ্তি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও ভালোবাসা লাভের একটি বড় সুযোগ ও উপায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ বেশি বেশি তাওবাকারীকে ভালোবাসেন’ (সূরা বাকারা-২২২)।
রাসূল সা: বলেন, ‘ইয়া আইয়্যুহান নাসু তুবু ইলাল্লাহ’ অর্থাৎ- হে মানবজাতি! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা করো। এর অর্থ হলো- আল্লাহর নিকট ফিরে আসো, প্রত্যাবর্তন করো’ (মুসলিম-৭০৩৪)।
রব্বে কারিম ইরশাদ করছেন, ‘আল্লাহ অবশ্যই সেই সব লোকের তাওবা কবুল করেন যারা অজ্ঞতাবশত কোনো গুনাহ করে ফেলে, তারপর জলদি তাওবা করে নেয়। সুতরাং আল্লাহ তাদের তাওবা কবুল করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে জ্ঞাত, প্রজ্ঞাময়’ (সূরা নিসা-১৭)।
হজরত আলী রা:-কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো- যে গুনাহ করে এবং তাওবা করে, আবার পুনরায় গুনাহ করে। আবার তাওবা করে আবার গুনাহ করে। আবার গুনাহের কাজে মশগুল হয় এবং আবার তাওবা-ইস্তিগফার করে (জানতে চাওয়া হয়)। এ রূপ করতে থাকা ব্যক্তির কী অবস্থা হবে?
হজরত আলী রা: বলেছেন, তার কর্তব্য হলো সর্বদা তাওবা-ইস্তিগফার করতে থাকা। কেননা, তাওবা-ইস্তিগফার অব্যাহত থাকলে শয়তান ব্যর্থ হয়ে যায়। শয়তান বলে, এ ব্যক্তিকে গুনাহের কাজে সর্বদা মশগুল রাখতে আমি অক্ষম।
সুতরাং বোঝা যায়, বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওবা-ইস্তিগফারের সুযোগ দান এক মহা নিয়ামতস্বরূপ। তাঁর এ নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা বিশ্ব মুসলিমের জন্য একান্ত অপরিহার্য বিষয়।মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে বেশি বেশি তাওবা-ইস্তিগফার করার মাধ্যমে আমাদের মন ও শরীরকে পুত-পবিত্র করার তাওফিক দিন।-াামিন