ইসলামিক ডেস্ক:ভালো ও কল্যাণকর কাজে সহযোগিতা করা নিঃসন্দেহে একটি মহৎ সওয়াবের কাজ। এর জন্য আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই পুরস্কৃত করবেন। ভালো এবং কল্যাণকর কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করার প্রতি নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘তোমরা সৎকাজ ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে। গোনাহ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে না।’ (সূরা মায়িদাহ-২)
মানবজীবনে সমাজ এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধনী-গরিব মিলিয়েই মূলত একটি সমাজ। তাই বিভিন্ন সময়ে অসহায় দরিদ্রদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানো ধনী লোকদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধু দায়িত্ব নয়; বরং এটি প্রশংসনীয় কাজও বটে।
অনাহারে-বস্ত্রাভাবে দিনাতিপাত করে তাদের জন্য এক বেলা খাবার বা ভালো পোশাকের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে এখন বাংলাদেশে শীত মৌসুম চলছে। এ সময় পথেঘাটে বসবাসরত লোকগুলোর কষ্টের মাত্রা বেড়ে যায় সীমাহীন। এমনকি কখনো কখনো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অনেকেই। তাই যারা সামর্থ্যবান তাদের কর্তব্য হলো অসহায় দরিদ্রদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। তাদের দুঃখ-কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করা।
অনেক সময় দেখা যায়, অসহায় দরিদ্রদের সহযোগিতা করার মতো নিজের সামর্থ্য নেই, তবে সে অন্যের মাধ্যমে সহযোগিতা করতে পারে। নিঃসন্দেহে এটিও সওয়াবের কাজ। এ জন্য সেও তার মতোই সওয়াব পাবে। এ সম্পর্কে একটি হাদিস এখানে উল্লেখ করছি, হজরত আনাস ইবনে মালিক রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, নবী সা:-এর কাছে একজন লোক এসে তার নিজের জন্য একটি বাহন চাইল। কিন্তু তাকে তিনি দেয়ার মতো কোনো বাহন না পেয়ে তাকে অন্য এক লোকের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। সেই ব্যক্তি তাকে একটি বাহন দিলো। এ ঘটনাটি তিনি নবী সা:-এর কাছে এসে বললে তিনি বলেন, ‘সৎকাজের পথপ্রদর্শক ওই কাজ সম্পাদনকারীর সমতুল্য।’ (তিরমিজি-২৬৭০)
এ হাদিস থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, নিজে ভালো কাজ করা এবং ভালো কাজে সহযোগিতা করাও একটি পুণ্যের কাজ। তাই আসুন, নিজে সৎকাজ করি। নিজে না পারলে অন্তত সৎকাজে সহযোগিতা করি বা উদ্যোগ নেই। নিশ্চয়ই মহান রাব্বুল আলামিন সৎকাজে একে অপরকে সহযোগিতার তাওফিক দান করবেন। আমিন।