ইসলামিক ডেস্ক:মহান আল্লাহ মানুষকে জ্ঞান, বিবেক ও বুদ্ধি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। যার কারণে মানুষ ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, নিয়ম-কানুন, বিধি-নিষেধ, হালাল-হারাম বোঝার ক্ষমতা রাখে। আর জীবনযাপনের প্রতিটি বিষয়ের অর্থ নিহিত আছে মহা পবিত্র আল-কুরআনে। কারণ এটি একটি জ্ঞানের সাগর। জ্ঞান-ডুবুরিরা এ সাগরে ডুবে সোনা-রুপা, মনি-মুক্তা, হিরা-জহরত নিয়ে আসেন। তারা এখানে মহান আল্লাহর নিয়ামত ও কুদরত খুঁজে পান।
এজন্য নিয়মিত অর্থ সহকারে কোরআন তেলাওয়াত করা প্রয়োজন। আমরা হয়তো অনেক সমস্যায় পড়ছি অনেক কিছু খুঁজে বেড়াচ্ছি কিন্তু যদি একটু মনোযোগ সহকারে অর্থসহকারে ব্যাখ্যা সহকারে কোরআন তেলাওয়াত করি তাহলে আমরা আমাদের জীবন যাপনে অনেক শান্তি লাভ করতে পারব।
মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সব আদেশ-নির্দেশ রয়েছে। সুতরাং ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এটি এমন একটি বিধান, এখানে বৈচিত্র্যময় কিছু বিধান রয়েছে। যা মানব রচিত বিধানে নেই। সে হিসেবে বোঝা যায়, কুরআন হচ্ছে মুমিনের কাছে একটি আয়না।
এককথায় বলা যায়, আল-কুরআন মুসলমানের সংবিধান যা একমাত্র ইহকাল ও পরকালে মুক্তির উপায়। সুতরাং আল-কুরআনকে প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজিক জীবনে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা ফরজ। আসুন আমার প্রতিদিন না পারি সপ্তাহে অন্ত একটি দিন অর্থ সহকারে কোরআন তেলাওয়াৎ করি। নিশ্চয়ই মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের বুদ্ধি বিবেককে বহুগুনে বাড়িয়ে দিবেন।-আমিন