দান খয়রাত ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ নেক আমল

ইসলামিক ডেস্ক: দান খয়রাত ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ নেক আমল হিসেবে বিবেচিত হয়। যা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই করতে হবে তবেই এই দান পরকালে বহু অংশে বৃদ্ধি পেয়ে দাতার কাছে ফিরে আসবে। এ জন্য মহান রবের সন্তুষ্টির নিয়্যতে দান-সদকাহ করা উচিত।

যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে দান করবে তাদের জন্য মহান রবের ইরশাদ- ‘আর যারা নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং নিজেদের (ঈমানের) দৃঢ়তা আনয়নের জন্য, তাদের দৃষ্টান্ত এ রকম- যেমন কোনো টিলার উপর একটি বাগান রয়েছে, তার উপর প্রবল বৃষ্টিপাত হলো, ফলে তাতে দ্বিগুণ ফল জন্মাল। যদি তাতে প্রবল বৃষ্টি নাও পড়ে, তবে শিশিরবিন্দুও (তার জন্য যথেষ্ট)। আর তোমরা যা কিছু করো, আল্লাহ তা অতি উত্তমরূপে দেখেন।’ (সূরা বাকারা-২৬৫)

কুরআন-হাদিসে এর অনেক ফজিলতও বর্ণিত হয়েছে। তাই ইসলামের অপরাপর আমলের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ আমলটির জন্যও রয়েছে অনন্যসাধারণ কিছু নির্দেশনা ও নীতিমালা। যদি দানের ক্ষেত্রে সেগুলো রক্ষা করা হয় তাহলে এর যথাযথ প্রতিদানও পাওয়া যাবে। কাজেই সে নির্দেশনাগুলো আমাদের জানা দরকার। দানের গুরুত্ব বোঝাতে কুরআনে মহান রবের ইরশাদ- ‘হে মু’মিনরা, আমি যা তোমাদেরকে দিয়েছি তা থেকে তোমরা ব্যয় করো সেই দিন আসার আগে, যেই দিন ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুত্ব ও সুপারিশ থাকবে না এবং কাফিররাই জালিম।’ (সূরা বাকারা-২৫৪)

দানের গুরুত্বে রাসূলুল্লাহ সা:-এর বাণী- আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে আদম সন্তান, তুমি ব্যয় করো, আমি তোমার ওপর ব্যয় করব।’ (বুখারি-৫৩৫২)

উপরোক্ত আয়াত ও হাদিসে আল্লাহ প্রদত্ত অর্জিত হালাল সম্পদ থেকে আল্লাহর রাস্তায়, গরিব, অসহায়দের মধ্যে দান-সদকার বিষয়ে নির্দেশনা ও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

সুতরাং কথা একটাই, দান অল্প হোক আর বেশি হোক, আল্লাহর জন্যই হতে হবে। নিয়ত শুদ্ধ করে সামান্য দানও যদি করা যায়, সেটি মৃত্যুর পরে কাজে আসবে এবং পরকালে আমলনামায় যুক্ত হবে, যদিও তা একটি খেজুরও হয়। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সমাজের অতি দরিদ্র ও অসহায়দের সহায়তা করার তাওফিক দান করুন।-আমিন