ইসলামিক ডেস্ক: আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (২৬ রজব) শনিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে। মিরাজ রাসূল সা:-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি মুজিজা। মিরাজের এ মুজিজা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ এবং মহিমান্বিত। মুহাম্মাদ সা:-এর দু’টি বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যা অন্য কোনো নবীর ভাগ্যে হয়নি। দুনিয়াতে এ মিরাজের ঘটনা এবং আখিরাতে মাকামে মাহমুদ ও শাফায়াত। রাসূল সা:-এর জীবনে দু’টি ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর একটি মিরাজ। অন্যটি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত। মিরাজের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মাদ সা:-কে যে সম্মাননা দিয়েছেন, এ সম্মাননা মাখলুকাতের মধ্যে আর কাউকে দেয়া হয়নি। একজনের জন্য একবারই এ মিরাজের আয়োজন করা হয়েছে।
মিরাজকে মিরাজ এ জন্যই বলা হয়, মিরাজ অর্থ সিঁড়ি। মসজিদে আকসা থেকে বের হওয়ার পর রাসূল সা:-এর জন্য জান্নাত থেকে সিঁড়ি আনা হয়েছিল এবং এর মাধ্যমেই তিনি আসমানে পৌঁছেছেন।
কেউ কেউ বলেছেন, মিরাজের অর্থ চড়া, আরোহণ করা বা উঁচুতে ওঠা। একইভাবে মিরাজ তথা সিঁড়ি বা সোপানকেও বলা হয়। রাসূল সা: যেহেতু ওই রাতে ভূমণ্ডলের এ গৃহবসতি ছেড়ে সাত আকাশ, সিদরাতুল মুনতাহা এবং এ থেকেও আরো উঁচুতে উঠে আল্লাহ তায়ালার নিদর্শনগুলো দেখেছেন সে জন্য এ মহিমান্বিত ও গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণকে মিরাজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
শবে মেরাজের দিন বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ দিন ঐচ্ছিক ছুটি।