ইসলামিক ডেস্ক:আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা রমজানের শেষ শুক্রবার পবিত্র জুমাতুল বিদা হিসেবে পালিত হয়। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা দিনে জুমার নামাজে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করেন, ইবাদত-বন্দেগি করেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের শেষ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশেষ ইবাদত করতেন। তার উম্মতরা এরই ধারাবাহিকতায় এই দিনে বাদ জুমা নফল নামাজ আদায় করেন এবং বিশেষ মোনাজাত করেন।
নানা কারণেই মুসলমানদের কাছে জুমাতুল বিদার গুরুত্ব অনেক। রমজান মাস সীমাহীন ফজিলতের মাস। হাদিসে আছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারী, মুসলিম)। তাই সারা বছরের মাঝে মুমিনের কাছে রমজান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুমাতুল বিদার মাধ্যমে কার্যত রোজাকে বিদায় জানানো হয়।
পবিত্র রমজান মাস আমাদেরকে নৈতিক, আত্মিক, চারিত্রিক গুণাবলিসহ বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা দিয়ে যায়। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা এ মাসের পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে তার সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হয়, নিজের যাবতীয় পাপ মোচনসহ সব অপরাধ বিনষ্ট করতে মাহে রমজানের আগমন। বাকি ১১টি মাস যেন সুন্দর, সুশৃঙ্খলভাবে আল্লাহর বিধান মেনে এবং বিশ্বনবীর দেখানো পথে চলার মাধ্যমে ঈমানদাররা যেন অভ্যস্ত হয়ে যায়। আর অভ্যস্ত হতে হতে একপর্যায়ে যেন তা স্থায়ী হয়ে যায়। এ কারণেই এ মাসের আগমন। ‘সিয়াম’ আমাদের প্রতি বছর অনেক শিক্ষা দিয়ে যায়, যে শিক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম শিক্ষা হলো-১. ধৈর্যের শিক্ষা, ২. নেক আমলের শিক্ষা, ৩. খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার শিক্ষা, ৪. ক্ষুধার্ত ব্যক্তিদের কষ্ট অনুধাবন করার শিক্ষা, ৫. ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা।
মু’মিন মুসলমানরা যেন এ আমল বাকি মাসগুলোতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখে, এ শিক্ষাই দিয়ে যায় রমজান মাস।