ইসলামিক ডেস্ক: মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকদত আমরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। সেটা সরকারী হো বা বেসরকারী হোক বিভিন্ন কাজে আমরা আত্মনিয়োগ করে থাকি। আমরা স্ব-স্ব পেশায় অনেক সময় কাজে-কর্মে কাজ অবহেলা করে থাকি। যা ইসলামের দৃষ্টিতে খুবই নিন্দনীয় ও অপরাধযোগ্য হিসেবে বিবেচিত।
কর্মক্ষেত্রে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব- যা নিঃসন্দেহে আমানত, যথাযথ পালন করা ঈমানের অনন্য বৈশিষ্ট্য। একজন মু’মিনের দ্বারা কখনো আমানতের খেয়ানত হবে এটি অকল্পনীয়। কুরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা সফল মু’মিনের পরিচয় উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন- ‘(মু’মিনদের অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে) যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।’ (সূরা মু’মিনুন-৮)
যথার্থভাবে দায়িত্ব পালন করে আমানত রক্ষায় আত্মনিয়োগ করা ইসলামের অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, তোমরা আমানতগুলো প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দাও। আর যখন মানুষের বিচার-মীমাংসা করবে, তখন ন্যায়ভিত্তিক মীমাংসা করো। আল্লাহ তোমাদের সদুপদেশ দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী, দর্শনকারী।’ (সূরা নিসা-৫৮)
নবীজী সা: ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে তার দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (সহিহ বুখারি-৮৪৪, জামে তিরমিজি-১২৪)
একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি ঠিক সময়ে অফিসে আসবেন। কর্তব্য পালনে ফাঁকি, অবহেলা বা অলসতার আশ্রয় নেবেন না- এটিই স্বাভাবিক। সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য। নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রয়োগ করে কাজের মান নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম।
আল্লাহ বলেন- ‘দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়, যারা লোকের কাছ থেকে মেপে নেয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় নেয় আর যখন তাদের জন্য মেপে অথবা ওজন করে দেয়, তখন কম দেয়।’ বিভিন্ন হাদিসের আলোকে জানা যায়, কাজে ফাঁকি দিয়ে ব্যক্তি কখনো নিজেকে পূর্ণ মুসলমান দাবি করতে পারে না। কারণ ফাঁকির মাধ্যমে উপার্জিত সম্পদ হারাম। আর হারাম খাদ্য গ্রহণ করে কোনো ইবাদত পালন করলে আল্লাহ তা কবুল করেন না।
তাই আসুন, আমরা প্রত্যেকেই আপন আপন কাজে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিই। দুনিয়াতে আত্মসম্মানবোধ নিয়ে বাঁচি এবং পরকালে সফলতা অর্জন করি।মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকল কাজে রহমত ও বরকত দিন।-আমিন।