ইসলামিক ডেস্ক: ইসলাম ফরজ বিধানগুলো পালনে যেভাবে তাগিদ দিয়েছে, তেমনি আচার-আচরণে বা ব্যবহারের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। উত্তম চরিত্র ও ভালো ব্যবহার নিয়ে দিকনির্দেশনা রয়েছে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে। জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আহার-পানীয় গ্রহণে, অন্যের সাথে কুশলবিনিময়ে, সালাম আদান-প্রদানে, অনুমতি গ্রহণে, ওঠাবসা, কথা বলা, আনন্দ ও শোক প্রকাশ প্রভৃতি ক্ষেত্রে মু’মিনের আচরণ কিরূপ হবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে।
কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘তুমি ক্ষমার নীতি গ্রহণ করো। লোকদের সৎকাজের আদেশ দাও এবং মূর্খদের এড়িয়ে চলো।’ (সূরা আ’রাফ-৭/১৯৯) ‘যারা সচ্ছলতা ও অসচ্ছলতা সর্বাবস্থায় (আল্লাহর রাস্তায়) ব্যয় করে, যারা ক্রোধ দমন করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। বস্তুত আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে-ইমরান-৩/১৩৪)
আমারে কারো সাক্ষাতে বলি ‘আসসালামু আলাইকুম’ অর্থাৎ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক। এটি ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, প্রার্থনা প্রভৃতি অর্থ বহন করে থাকে। ইসলামের বিধান অনুসারে শিষ্টাচারের এই পবিত্র রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও জাতি পরস্পর ভাইয়ের মতো জীবনযাপন করে থাকে।
রাসূল সা: সাহাবিদের সাথে ও তাঁর অধীনস্থদের সাথে উত্তম ব্যবহার করতেন। আর মহান আল্লাহ রাসূলের অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আসুন আমারও সমাজে সকলের সাথে ভালো আচরণ করি। পরিবার থেকে সমাজ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা ইসলামের সুমহান সৌন্দর্যে আন্দোলিত হই। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে উত্তম চরিত্রের মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হওয়ার তাওফিক দিন।-আমিন