ইসলামিক ডেস্ক: ইসলামের অনন্য ইবাদত পবিত্র হজ আসন্ন। পবিত্র হজ উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে মানুষ সমবেত হতে শুরু করেছেন পূণ্যভূমি মক্কায়। আমাদের মধ্যে অনেকই আছেন যারা হজ করতে যান অথচ মানুষের অথবা পরিবারের ন্যায্য হিস্যা বা হক আদায় না করে হজে যান। প্রকৃতপক্ষে হজে যাওয়ার আগেই মানুষের যাবতীয় পাওনা ও হক পরিশোধ করে যাওয়া। এটা কোনো ইবাদতেও মাফ হয় না এমনকি আল্লাহতায়ালাও মাফ করেন না, যতক্ষণ না ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি বা পাওনাদার তা ক্ষমা করেন।
ইসলামে মূলনীতি হলো, বান্দার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদী বান্দা ক্ষমা না করলে পাপী ব্যক্তি মুক্ত হতে পারবে না। তাই হজে যাওয়ার আগেই বান্দার হক সম্পর্কে অবগত হয়ে তার সমাধান করে যাওয়া উত্তম।
হজ আদায়ের প্রেক্ষিতে ক্ষমা ঘোষণার হাদিসটি হলো, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ করে এবং অশ্লীল ও গোনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে হজ থেকে এ অবস্থায় ফিরে আসে যেন আজই মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়েছে। অর্থাৎ জন্মের পর শিশু যেমন নিষ্পাপ থাকে, সেও তদ্রূপই হয়ে যায়। ’
মহান রাব্বুল আলামিন হজে গমনকারী সকলকে হজের প্রকৃত নিয়ম মেনে হজ করার তাওফিক দিন। আমিন