ইসলামিক ডেস্ক: আদব অর্থ বিনয়, নম্রতা, ভদ্রতা, সভ্যতা, ইত্যাদি। মুসলিম জীবনে আদব-কায়দার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, নিশ্চয় উত্তম চরিত্র, ভালো ব্যবহার ও পরিমিত ব্যয় বা মধ্যপন্থা অবলম্বন করা নবুওয়তের পঁচিশ ভাগের একভাগ সমতুল্য। রাসূলুল্লাহ সা: আরো বলেন, বাবা তার সন্তানের জন্য যে সম্পদ রেখে যেতে পারে তা হচ্ছে সন্তানকে উত্তম আদব কায়দা ও নৈতিকতা, শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়া (মুসলিম)।
উমর রা: বলেন, আগে সুসভ্য হও, তারপর জ্ঞান অর্জন করো। ইবনে আব্বাস রা: বলেন, তুমি আদব অন্বেষণ করো, কারণ আদব হলো বুদ্ধির পরিপূরক। ব্যক্তিত্বের দলিল, নিঃসঙ্গতায় ঘনিষ্ঠ বন্ধু, প্রবাসজীবনের সাথী এবং অভাবের সময়ে সম্পদ।
ইবনে হাজার আসকালানী রহ: বলেন, কথায় ও কাজে প্রশংসনীয় ব্যবহারকে আদব বলে। কেউ বলেন, উত্তম চরিত্র লালন করাকে আদব বলে। কেউ বলেন, আদব হলো ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিকে সম্মান করা এবং অধঃস্তনকে স্নেহ করা। কেউ বলেন, আদব মানে উত্তম চরিত্র এবং ভালো কাজ। কেউ বলেন প্রশংসনীয় বৈশিষ্ট্যসমূহকেই আদব বলা হয়।
লেখক আল্লামা জালালুদ্দিন রুমি রহ: বলেন, যার ভাবার্থ হলো এই, হে আল্লাহ, তুমি দয়া করে আমাকে আদব ভিক্ষা দাও, কেননা, বে-আদব আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে বঞ্চিত থাকে।
উপরের কয়েকটি বাণী থেকে আদব-কায়দার বিষয়টি ও গুরুত্ব সম্পর্কে উপলব্ধি করা যায় আর মানবতার ধর্ম ইসলাম সেই শিক্ষাই দেয়। আমাদের সকলের উচিত আমাদের সন্তানদের আদব-কায়দা এবং শিষ্টাচার সম্পর্কে অবহিত করা। নিশ্চয় মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে সেই শিক্ষা লাভে শিক্ষিত করুন এবং পরবর্তী প্রজন্মকে সেই শিক্ষায় দীক্ষিত করার তৌফিক দিন।- আমিন