ইসলামিক ডেস্ক: নামাজ হলো আল্লাহ তায়ালা ও বান্দার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের বিশেষ মাধ্যম। বান্দা নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সম্মান এবং তাঁর আনুগত্য পালনার্থে স্বীয় সম্মানিত অঙ্গগুলো আল্লাহ তায়ালার সামনে ঝুঁকায়। এর দ্বারা বান্দা মহামহীয়ান আল্লাহ তায়ালার সামনে নিজেকে তুচ্ছজ্ঞান করার পাশাপাশি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান প্রভুর দাসত্বের প্রকাশ ঘটে। রাসূল সা: বলেছেন, ‘ঈমান ও কুফরের ব্যবধান হলো সালাত (নামাজ) পরিত্যাগ করা’ (তিরমিজি-২৬১৯)।
নামাজ এমন একটি ফরজ ইবাদত যার কোনো বিকল্প নেই। একজন অসুস্থ বা মুসাফির ব্যক্তি রোজা না রেখে পরেও রাখতে পারে। একেবারে অক্ষম হলে ফিদিয়া বা কাফফারা দিতে পারে। কিন্তু নামাজের ক্ষেত্রে সেই বিধান নেই। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে নামাজ ফরজ। কোনো ওজর না থাকলে পূর্ণ নিয়মানুযায়ী দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। তা না হলে বসে, তাও সম্ভব না হলে শুয়ে, তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে ইশারায় নামাজ আদায় করতেই হবে। কাপড় না থাকলে বিবস্ত্র অবস্থায় নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু তবুও নামাজ পরিত্যাগের সুযোগ নেই।
শরিয়তের পক্ষ থেকে ব্যক্তি বিশেষের প্রতি শিথিলতা প্রদর্শন করা হয়েছে। যেমন- মহিলাদের মাসিক ঋতুস্রাবের দিনগুলোতে এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরবর্তী সর্বোচ্চ ৪০ দিন পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য নামাজকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
যে ব্যক্তি নামাজকে হিফাজত করে, এই নামাজ কিয়ামতের দিন তার জন্য নূর হবে, দলিল হবে এবং নাজাতের কারণ হবে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘তোমরা নামাজের প্রতি যতœবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের প্রতি এবং আল্লাহর সামনে বিনীতভাবে দণ্ডায়মান হও’ (সূরা বাকারা-২৩৮)।
কেবল মুনাফিক, ফাসেক ব্যক্তিরাই নামাজে অলসতা করে এবং নামাজ ত্যাগ করার মতো দুঃসাহস করে। ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়। আর তিনি তাদেরকে ধোঁকায় ফেলেন। আর যখন তারা নামাজে দাঁড়ায় তখন অলসভাবে দাঁড়ায়, তারা লোকদেরকে দেখায় এবং তারা আল্লাহকে কমই স্মরণ করে’ (সূরা নিসা-১৪২)।
তাই সকল মুমিন মুসলমান ন-নারীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ নামাজে অলসতা করবেন না। যথাসময়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করুন। এই নামাজ কিয়ামতের দিন আপনার জন্য নূর হবে, দলিল হবে এবং নাজাতের কারণ হবে।-আমিন