ইসলামিক ডেস্ক: সৃষ্টির শুরু থেকেই শয়তান মানুষকে নানাভাবে কুমন্ত্রণা দিয়ে আসছে। শয়তান হজরত আদম (আ.)-কে সিজদা করার অস্বীকারের মধ্য দিয়ে শত্রুতা শুরু করেছ; এখনো সে শত্রুতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। শয়তানের কুমন্ত্রণা ভয়ঙ্কর একটি বিষয়। শয়তানের কুমন্ত্রণায় মানুষের ঈমান দূর্বল হয়ে যায়। শুধু তাই নয় অনেক সময় মুমিনের জীবনকে বিপন্ন করে তুলে শয়তানের কুমন্ত্রণা। দুনিয়াতে একজন মুমিন অবশিষ্ট থাকা অবস্থায় শয়তানের এ কাজ অবশিষ্ট থাকবে।
কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমার (মুমিন) বান্দাদের বলে দাও, তারা যেন এমন কথাই বলে, যা উত্তম। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি করে। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।’ -সুরা বনি ইসরাইল : ৫৩
যদি শয়তানের কোনো কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি সব শোনেন ও জানেন। তাকওয়া (সতর্কতা) অবলম্বনকারী লোকেদের শয়তান যখন কুমন্ত্রণা দেয়, তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং সাথে সাথে তাদের চোখ খুলে যায়। অথচ তাদের সঙ্গী সাথীরা তাদের টেনে নেয় বিপথগামিতার দিকে এবং তারা কোনো প্রকার কসুর করে না।
-সূরা আল আরাফ, আয়াত : ২০০-২০২
মহান আল্লাহ সবাইকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুন।-আমিন