বিএলআরআই আঞ্চলিক কেন্দ্র, সৈয়দপুর, নীলফামারী এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর আঞ্চলিক কেন্দ্র, সৈয়দপুর, নীলফামারী আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি এ উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ইনস্টিটিউটের চলমান পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্প এর অর্থায়নে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়।

সকালে বিএলআরআই আঞ্চলিক কেন্দ্র, সৈয়দপুর, নীলফামারী এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মিজ ফরিদা আখতার। এসময় তিনি ফিতা কেটে এবং নামফলক উন্মোচন করে আঞ্চলিক কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পাশাপাশি এসময় তিনি আঞ্চলিক কেন্দ্রে একটি বৃক্ষরোপণও করেন। এরপর তিনি আঞ্চলিক কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং কেন্দ্রের চলমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অনুসন্ধান করেন। এসময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবেরসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বিএলআরআই এর উর্ধ্বতন প্রতিনিধিবৃন্দ।

আঞ্চলিক কেন্দ্র উদ্বাধনের পরে এ উপলক্ষ্যে একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব নীলুফা আক্তার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র।

কর্মশালাটিতে সভাপতিত্ব করেন বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

বেলা এগারোটায় সৈয়দপুরের ইক্যু হেরিটেজ হোটেল এন্ড রিসোর্ট মিলনায়তনে পবিত্র গ্রন্থ হতে পাঠের মাধ্যমে কর্মশালাটি শুরু হয়। শুরুতেই অনুষ্ঠানে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএলআরআই এর পোল্ট্রি রিসার্চ সেন্টারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও দপ্তর প্রধান এবং পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সাজেদুল করিম সরকার।

এসময় তিনি আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনের পটভূমি, প্রেক্ষাপট, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং কেন্দ্রের চলমান উন্নয়ন ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পরে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষজ্ঞ আলোচনা। এসময় আলোচনা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী এবং লালতীর লাইভস্টক লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ড. কাজী ইমদাদুল হক।

এরপর আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে তাদের বক্তব্য প্রদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব ফরিদা আখতার বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গবাদি প্রাণীতে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের ফলে ব্যাকটেরিয়াসমূহে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে। যা মানব সম্পদের জন্য ভবিষ্যতে মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। মানুষ এবং গবাদি প্রাণী পাশাপাশি থাকে বলে প্রাণিসম্পদে ক্ষতিকর কিছু ব্যবহার করা হলে তা মানুষের শরীরে ফেরত আসার সম্ভবা তৈরি হয়। তাই আমাদের অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এসময় আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় জাতের মুরগিসমূহ হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ একটি ভৌগোলিক বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ, এদেশের বিভিন্ন রিজিওনাল ভেরিয়েশনাল ক্ষেত্র বিবেচনায় নিয়ে দেশীয় সম্পদসমূহ রক্ষা করতে হবে এবং অঞ্চলভিত্তিক ক্ষতির কারণসমূহ চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। দেশীয় মুরগির পাশাপাশি হাঁসের ডিমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ফিড ইন্ড্রাস্ট্রিতেও আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। খাদ্য উৎপাদনের সাথে সাথে খাদ্য তৈরির উপাদানের ক্ষেত্রেও আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। বাইরে থেকে খাদ্য তৈরির উপাদান আমদানি করা হলে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, খাবারের দাম বৃ্দ্ধি পেলে পোল্ট্রি বা ডিমের দাম বাড়বেই। একারণে কম খরচে খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গবেষণা গবেষণা করতে হবে। একই সাথে এই মন্ত্রণালয় প্রাণী সংরক্ষণ ও প্রাণীর সুরক্ষা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত যত কাজ করছে, তার ব্র্যান্ডিং নেই, প্রচারণা নেই। সরকারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কাজের ব্র্যান্ডিং বাড়াতে হবে। একই সাথে এই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে কর্মরত জনবলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় সকল প্রকার সহযোগিতা করবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. শাকিলা ফারুক এর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মশালাটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এসময় তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিকে এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানিই। এসময় তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে উঠার সাথে সাথে আমাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবেষণার বিকল্প নেই। বিএলআরআই দেশীয় সম্পদকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিএলআরআই ভবিষ্যতে স্থানীয় জাত সংরক্ষণ ও খাদ্যের উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য কাজ করবে।

এক নজরে বিএলআরআই আঞ্চলিক কেন্দ্র, সৈয়দপুর, নীলফামারী
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিটউট ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ সিস্টেমের অংশ হিসেবে দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে জাতীয় চাহিদার নিরিক্ষে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের রূপকল্পকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। লাভজনক, টেকসই এবং পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন, উন্নয়ন এবং ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদী খাদ্য নিরাপত্তা তথা আমিষের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।

আবহাওয়া ভেদে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীবিকা নির্বাহের ধরণ, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। আর তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অঞ্চলভিত্তিক প্রাণিসম্পদ সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান উদ্ভাবনের লক্ষ্যে বিএলআরআই এর আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বৃহত্তর রংপুর বিভাগ ও এই অঞ্চলের পোল্ট্রি খামারি, উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে এবং এই অঞ্চেলের প্রাণিসম্পদ গবেষণা কার্যক্রমকে বেগবান করার লক্ষ্যে সৈয়দপুর, নীলফামারী আঞ্চলিক কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে।

সৈয়দপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রটি জেলা শহর নীলফামারী থেকে ২৩.৭ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রায় ০৮.০০ একর জায়গার উপরে স্থাপিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ইনস্টিটিউটের চলমান “পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ” শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে বিগত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আঞ্চলিক কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর; প্রধান ফটক; অফিস কাম ল্যাবরেটরি ভবন; আরসিসি কার্পেটিং রোড; পোল্ট্রির জন্য ব্রুডার, গ্রোয়ার ও লেয়ার শেড; বায়োগ্যাস প্লান্ট; ১৫০ কেভিএ সাবস্টেশন ও সোলার সিস্টেম ইত্যাদিসহ সহায়ক বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

নতুনভাবে স্থাপিত এই আঞ্চলিক কেন্দ্রটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে বিধায় এখানও এখানে রাজস্ব খাতের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ/ ন্যস্ত করা হয়নি। তবে কেন্দ্রটির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য “পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পিএইচডি এবং এমএস ফেলো গবেষকগণ এখানে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত সহায়ক জনবলও এখানে সংযুক্ত রয়েছে।

বর্তমানে আঞ্চলিক কেন্দ্রটিতে প্রকল্পের আওতায় বিএলাআরআই এর ৪ টি উন্নত বিদেশি পোল্ট্রির জাত, যথা- হোয়াইট লেগহর্ন, রোড আইল্যান্ড রেড, হোয়াইট রক ও ব্যারেড প্লাইমাউথ রক এবং রাজহাঁসের ২ টি ভ্যারাইটি, যথা- হোয়াইট এবং গ্রে ইত্যাদিসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ১৯০০ বার্ড সংরক্ষিত আছে এবং উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রম চলমান আছে।

আঞ্চলিক কেন্দ্রটির শুরু থেকেই পোল্ট্রি জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, খামারি প্রশিক্ষণ, বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং তা দূরীকরণের জন্য খামারিদের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হয়ে আসছে। এছাড়াও পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ১৮ টি ব্যাচে প্রায় ৩৫০০ জন খামারি/উদ্যোক্তা’কে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।

এছাড়াও আঞ্চলিক কেন্দ্রে বর্তমানে চলমান গবেষণা কার্যক্রমসমূহ হলো-
১) উন্নত বিদেশি জাতের ৪ টি পিউর লাইন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং এসব জাতের সাথে সংকরায়নের মাধ্যমে অধিক মাংস ও ডিম উৎপাদনশীল জাত উদ্ভাবন;
২) রাজহাঁস সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং ফরেজ (ঘাস জাতীয় খাদ্য উপাদান) ব্যবহারের মাধ্যমে দানাদার খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে রাজহাঁস উৎপাদন প্যাকেজ উদ্ভাবন;
৩) কমিউনিটিভিত্তিক পোল্ট্রি খামারিদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিএলআরআই উদ্ভাবিত বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি সম্প্রসারণ;
৪) শাক-সবজি সমৃদ্ধ মুরগির মাংসের কাটলেট ও কাবাব প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এসব পণ্যের পুষ্টিমান ও মেয়াদকাল মূল্যায়ন;
৫) পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের গবেষণা কার্যক্রমগুলোর মাঠ পর্যায়ে প্রাথমিক ভ্যালিডেশন কার্যক্রম ইত্যাদি।

পোল্ট্রির জন্য স্থাপিত একটি বিশেষায়িত আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে পোল্ট্রির বিভিন্ন প্রজাতিসমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ, জাত উন্নয়ন এবং অধিক মাংস ও ডিম উৎপাদনশীল স্ট্রেইন উদ্ভাবনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কেন্দ্রটি এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি এই অঞ্চলের খামারিদের প্রাণিসম্পদ পালনের ক্ষেত্রে মৌলিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং উদ্ভূত সমস্যা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা লক্ষ্যে গবেষণাগারসহ প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সমন্বিত গবেষণার মাধ্যমে এই অঞ্চলের খামারিদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো এবং ভবিষ্যত প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পোল্ট্রির নতুন নতুন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।