এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: জাতীয়তাবাদী কৃষিবিদদের দুঃসময়ের কান্ডারী শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মোঃ নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্ব পেয়েছেন। রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম পবিত্র হজ্জ্ব পালনের নিমিত্তে সৌদি আরব গমনের কারণে মোঃ নজরুল ইসলামকে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়। শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
জানা যায়, মোঃ নজরুল ইসলাম ২০০৬ সালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ১৯৮৭ সালে রাজশাহী কলেজে অধ্যয়নকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগ দেন। এ সময় তিনি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এরপর ১৯৯৪ সালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সদস্যদের সর্বাধিক ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালের ৬ নভেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় পার্বত্য চট্রগ্রাম অভিমূখী লংমার্চে অংশগ্রহণ করে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। জুলুম-নির্যাতণের শিকার হয়েও জাতীয়তাবাদী লড়াই থেকে পিছু না হটে বরং ১৯৯৯ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
মোঃ নজরুল ইসলাম ছাত্রজীবন শেষ করে পেশাজীবী রাজনীতিতেও জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধারন করেন। তিনি ২০০২ সালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের ঢাকা মহানগর শাখার ক্রিড়া সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী কৃষিবিদদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এরপর ২০২২ সালে ১৮ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী কৃষিবিদদের সংগঠন এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) এর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
জানা যায়, ২০২২ সালে জাতীয়তাবাদী কৃষিবিদদের সংগঠন এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) এর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের একান্ত সচিবের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ছাত্র রাজনীতি ও পেশাজীবী রাজনীতিতে আমি সর্বদা জাতীয়তাবাদী আদর্শ সমুন্নত রাখার চেষ্টা করেছি। এমনকি যখন আওয়ামী দুঃসাশনে অনেকেই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি থেকে পিছপা হয়েছে তখন ২০২২ সালে আমি জাতীয়তাবাদী কৃষিবিদদের সংগঠন এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করি।
ফলস্বরূপ আমাকে উপাচার্যের একান্ত সচিবে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আমাকে রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। আমি আমার সততা, দক্ষতা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করব।