এগ্রিলাইফ ফোকাস ডেস্ক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ নির্দেশনায় চট্টগ্রামে আজ পাহাড়/টিলা কর্তনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তর, জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম পুলিশ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানা ও খুলশী থানার আওতাধীন বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে আকবর শাহ ও খুলশী থানা এলাকায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে পাহাড় কাটার প্রমাণ মেলায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আকবর শাহ থানার লেকসিটি এলাকায় পাহাড় কাটার আলামত পাওয়ায় মালিক সিডিএ প্রকৌশলী ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হারবাতলী এলাকায় মোবাইল কোর্টে দুই ব্যক্তিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দক্ষিণ খুলশী এলাকায় মোবাইল কোর্টে মোঃ মাইদুল ইসলামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা তিনি পরিশোধ করেছেন।
রূপনগর ও ইমামনগরে পাহাড় কাটার প্রস্তুতি হিসেবে গাছপালা পরিষ্কার করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। মিরপুর আবাসিক এলাকায় রাস্তা নির্মাণের জন্য পাহাড় কাটার প্রমাণ মেলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানকালে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জনাব জহুরুল ইসলাম (জসিম) এর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবৎ উপরিউক্ত এলাকায় পাহাড় কর্তন করছে। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতোপূর্বে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজকের অভিযানে জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, বেলার প্রতিনিধি এবং স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরকে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মাইকিং করে স্থানীয় লোকজনকে পাহাড় কর্তনের বিরুদ্ধে প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। পাহাড় কর্তন সংক্রান্ত কোন তথ্য পেলে পরিবেশ অধিদপ্তরকে তৎক্ষণাৎ অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।