পর্যটন ভলেন্টিয়াররাই দেশের পর্যটনকে এগিয়ে নিবে, ফেনীতে কর্মশালায় ট্যুরিজম বোর্ড সিইও

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে তরুণদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। শুক্রবার (৪ আগস্ট) ফেনীতে ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত এক পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে তরুণদের পরিবেশবাদী সংস্থা মিশন গ্রিন বাংলাদেশ ও ইয়ুথ চেঞ্জ সোসাইটি বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, “ফেনী আধুনিক শহর, পর্যটনের শহর। ফেনীকে আরো বেশি পর্যটনবান্ধব করতে হলে পর্যটন এলাকাকে পরিষ্কার রাখতে হবে, আর এ কাজে তরুণরা ভূমিকা রাখতে পারে। ফেনী দিয়ে শুরু হলেও আমরা আশা করবো, দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের স্বার্থে সারাদেশের তরুণরাই ভলেন্টিয়ার হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে পর্যটনকে শিল্পকে এগিয়ে নিবে।

জানা গেছে, মিশন গ্রিন বাংলাদেশের পরিচালক কেফায়েত শাকিলের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ফেনী কমিটির সদস্য সোলাইমান হাজারী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন, সাংবাদিক এস এম ইউসুফ আলি, ওমর ফারুক, ইয়ুথ চেঞ্জ সোসাইটি বাংলাদেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ তাহসিনুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান পরিবেশ দুষণের কারণে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে উল্লেখ করে বলেন, "পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্লাস্টিক দূষণ একটি বড় সমস্যা। তরুণরা ইতোমধ্যে বৃক্ষরোপণ ও প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশের পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা আমাদের আশাবাদী করে তুলছে।"

পর্যটকদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিক আবর্জনা পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সৌন্দর্য নষ্ট করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তাই পর্যটকদের যত্রতত্র প্লাস্টিক আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফেনীর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন বলেন, “বিজয়সিংহ দিঘি ফেনীর অন্যতম পরিচিত পর্যটন কেন্দ্র। তবে পর্যটকদের ফেলে রাখা আবর্জনার কারণে এর সৌন্দর্য হারাচ্ছে। তরুণদের এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।”

মিশন গ্রিন বাংলাদেশের পরিচালক কেফায়েত শাকিল জানান, দুই দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে বৃক্ষরোপণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ এবং বন্যাকবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।