রাজধানী প্রতিনিধি: প্রযুক্তির যুগ তাই অফিসে কম্পিউটারে/ল্যাপটপে টানা কাজ করতেই হয়। আমাদের কৃষি সেক্টরে মাঠের পাশাপাশি অফিসের ডেস্কেও কাজ কিন্তু কম নয়! একটানা কাজ করতে করতে শরীরটা কেমন যেন ঝিম ধরে যায়। আর তখন ডেস্কের পাশে থাকা সতেজ সবুজ গাছের দিকে একঝলক তাকালেই মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কমে যায়। আমাদের দেশে বেশির ভাগ অফিসই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। অফিসের ভেতরে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস প্রবেশ করার সুযোগও তেমন থাকেনা। তাই অফিসের সৌন্দর্য বাড়াতে, মন ভালো রাখতে ও চোখের জ্যোতি ঠিক রাখতে প্রকৃতির ছোঁয়ায় আপনার অফিসটি সাজিয়ে নিন।
ইউরো এগ্রোভেট লি:-এর অফিসটি চমৎকার ও ন্যাটারালি সাজিয়ে তুলেছেন এর কর্ণধাররা। এ প্রসঙ্গে কোম্পানীর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, অধিকাংশ অফিস এ আর্টিফিশিয়াল বিউটিফিকেশন হয়। এর নেগেটিভ কিছু প্রভাব রয়েছে। "আমরা চিন্তা করলাম কিভাবে ন্যাচারালরি বিউটিফিকেশন করা যায়। এর ফলে অফিসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি অক্সিজেন-এর অভাবটা দূর হচ্ছে। অফিসে কর্মরতদের ভিতরে কর্মস্পৃহা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি অনুপ্রেরণা তৈরি হয়, আর তখন তারা বাসায় এরকম ন্যাচারাল বিউটিফিকেশন তৈরি করতে উৎসাহিত হয়।।
এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সেলস (ইনস্টিটিউশন ও পেট ডিভিশন) কৃষিবিদ ইলা ফারজানা বলেন, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সবুজ বিপ্লব নিয়ে কাজ করা হচ্ছে ১৯৬০ এর দশক থেকে। সবুজ হল তারুণ্যের প্রতীক। কর্মস্পৃহা বাড়াতে সবুজের ভুমিকা রয়েছে। নিজেদের রিলাক্সের জন্য সবুজের প্রয়োজন রয়েছে।
এসিস্ট্যান্ট প্রোডাক্ট ম্যানেজার ডা, আয়েশা আক্তার জাহান বলেন, ইউরো এগ্রোভেট লিমিটেড আমাদের সকলের জন্য সবুজ পরিবেশ উপহার দিয়েছে। সকল কর্পোরেট অফিসে যদি এরকম সবুজ আভা যদি থাকে, সেটা আমাদের কর্মক্ষেত্রে খুব পজিটিভ ইফেক্ট ফেলবে।
প্রকৃতি প্রেমিক না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবুজের ঘ্রাণ আমাদের সবাইকে কাছে টানে, আর একটু সবুজের ছোঁয়া পেলে মন স্নিগ্ধ হয়ে ওঠে। তাই রাজধানী ঢাকা সহ দেশের সকল অফিসেই প্রকৃতির ছোঁয়া লরাগুক এমনটাই মনে করেন পরিবেশবিদরা।