মোঃ গোলাম আরিফঃ পাবনায় বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণের দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক ০৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। ০২ অক্টোম্বর ২০২৪ বিকাল ৪ টায় উপপরিচালকের কার্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়িস্থ প্রশিক্ষণ হলে এ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া'র অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের দেশে নদী মাতৃক দেশ। বিভিন্ন কারণে প্রধান প্রধান নদীগুলো ভাঙ্গনের কারণে হাজার হাজার হেক্টর আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ৭০ শতাংশের বেশি চর অধিবাসী জীবিকার জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল। নদীর অববাহিকায় বিপুল পরিমান বালি, দোআঁশ ও পলিমাটি স্তরে স্তরে জমে উর্বর চর জেগে ওঠে। আর এই নদীর চরের পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে উপযুক্ত প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে হবে। উচ্চমূল্যের ফসল চাষাবাদের মাধ্যমে চরের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি কর্মকর্তাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, পুষ্টি নিরাপত্তায় পারিবারিক পুষ্টি বাগানে পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সম্প্রক্ত করতে হবে। চলতি আমন মৌসুমে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানে সচেষ্ট থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দীন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা’র জেলা প্রশিক্ষল অফিসার, কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম; অতিরিক্ত উপপরিচালক(উদ্ভিদ সংরক্ষণ), কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল মজিদ ও অতিরিক্ত উপপরিচালক(উদ্যান), কৃষিবিদ মোঃ নুরে আলম।
০৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে চরাঞ্চলে ফসল উৎপাদনে পুষ্টি উপাদানের ব্যবস্থাপনা; জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় কৃষি প্রযুক্তি; চরাঞ্চলে চাষ উপযোগী ফসলের তালিকা, শস্য বিন্যাস ও শস্য বৈচিত্রতা আনায়নের সম্ভাবনা; বিভিন্ন ধরনের জৈব সার উৎপাদন প্রক্রিয়া; পলি মালচ; উত্তম কৃষি চর্চা; চরে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বাস্তবায়ন কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষকবৃন্দ আলোচনা করেন। ০৩ দিনব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে পাবনা জেলার ৩০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।